Healthy Lifestyle

পুজোর পেটপুজোয় দেদার অনিয়ম! এবার শরীরের খেয়াল রাখবেন কী করে? রইল ঘরোয়া কিছু উপায়

এত অনিয়মের চক্করে হজমের গোলমাল দেখা দিতেই পারে। তাই এখন কিছু দিন তেল মশলাযুক্ত বাইরের খাবার বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলাই ভাল। বাড়িতে তৈরি সাধারণ খাবার খান তার বদলে। না হলে বাড়বে পেটের সমস্যা।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৪৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

ষষ্ঠী থেকে দশমী পেরিয়ে মা দুর্গা চলেছেন বিসর্জনে। পুজোর ক'দিন দেদার হুল্লোড়, অনিয়ম, রাতজাগা আর অঢেল খাওয়া-দাওয়ার পরে শরীর এ বার জানান দিচ্ছে বিশ্রাম প্রয়োজন। অথচ মাত্র এক দিন পরেই নতুন সপ্তাহ শুরু। ফিরতে হবে কাজের রুটিনে। এর মধ্যে শরীরকে সুস্থ রাখবেন কী ভাবে? শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য করবেনই বা কী? থাকল তারই কিছু সুলুক সন্ধান।

Advertisement

হালকা খাবার- পূজোর ক'দিন ইচ্ছেমতো ভূরিভোজ হয়েছে। রেস্তরাঁয় তেল মশলা ঠাসা খাবার হোক বা রাস্তার স্টলে চপ-চাউমিন রোল— সবই খেয়েছেন আশ মিটিয়ে। এত অনিয়মের চক্করে হজমের গোলমাল দেখা দিতেই পারে। তাই এখন কিছু দিন তেল মশলাযুক্ত বাইরের খাবার বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলাই ভাল। বাড়িতে তৈরি সাধারণ খাবার খান তার বদলে। না হলে বাড়বে পেটের সমস্যা।

পর্যাপ্ত ঘুম - রাত জেগে ঠাকুর দেখা হোক বা ভোরে উঠে অঞ্জলি, পুজোয় ঘড়ি দেখে দিন কাটায় না কেউই। এতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীর। ঘুমের বারোটা বাজে। পুজোর পর তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দরকার সকলেরই। অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমোলে শরীর সুস্থ হবে। ঘুমের অভাবে চোখের নীচে কালি, মাথা ব্যথা, পেটের সমস্যার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

Advertisement

শরীর চর্চা - পুজোর কদিন ঠিক করে শরীরচর্চা হয় না কারওরই। তাই যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, পুজোর ঠিক পরেই তা ফের শুরু করে দেওয়া উচিত। জিমে যাওয়া হোক বা যোগাসন, বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ কিংবা মেডিটেশন- শরীর সুস্থ রাখতে এগুলোর যে কোনও একটি আপনাকে মেনে চলতে হবে। তবে মাথায় রাখুন, কিছু দিন শরীরচর্চা থেকে বিরত ছিলেন আপনি। তাই প্রথমেই অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা উচিত নয়। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

বডি ডিটক্স - বডি ডিটক্সে সবথেকে ভাল কাজ দেয় জল। গরমে ঘোরাঘুরিতেে ঘাম বা দীর্ঘ হাঁটাহাঁটির পরিশ্রমে অনেকেরই শরীরের জলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পুজো শেষ হওয়ার পরে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। এতে বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যাবে এবং শরীরও হাইড্রেটেড থাকবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে শসা ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে নিতে পারেন।

এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement