পুজো মানেই সারাদিন ঘোরাঘুরি, ঠাকুর দেখা আর খাওয়া দাওয়া। শুধু পুজো কেন পুজোর আগেও রয়েছে কেনাকাটার পালা। গরমে ভিড়ে ভিড়ে ঘুরে কেনাকেটা করা। সঙ্গে রয়েছে এই বর্ষার প্যাচপ্যাচে গরম আর অসহ্য কাদা।
ঘাম যে হবে এ তো স্বাভাবিক। তবে অনেকের ঘামেই খুব দুর্গন্ধ হয়। আর এই পুজোর মরশুমে যদি আপনার গা থেকে আসে ঘামের গন্ধ, তা হলে তো হয়ে গেল। প্রেমিকা হোক বা বন্ধুবান্ধব যাদের সঙ্গে ঘুরতে যান না কেন, নিজেকে পরিষ্কার রাখাটা কিন্তু খুব দরকার। ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে কী করবেন? জানাচ্ছেন ত্বক চিকিৎসক সৌম্য পাণ্ডা।
কেন হয় বেশি ঘাম?
যদি কোনও ব্যাক্তির ওজন তার উচ্চতা অনুযায়ী যা হওয়া উচিত, তার থেকে বেশি হয়, তা হলে অনেক সময় বেশি ঘাম হয়। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কিন্তু বাড়তে পারে অতিরিক্ত ঘাম এবং সেই ঘাম জমে হতে পারে দুর্গন্ধ।
কেন হয় দুর্গন্ধ?
এটি এক ধরনের সংক্রমণ। অনেকের আবার হাইপার হাইড্রোসিস বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যা থাকে। অ্যাপোক্রিন ঘর্ম গ্রন্থির থেকে নিঃসৃত রসের জন্য শরীরে দুর্গন্ধ হয়। বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই গ্রন্থির কার্যকলাপ বেড়ে যায়। ফলে এই বয়সে অনেক সময় ঘামে দুর্গন্ধ বেশি হয়।
ঘামে দুর্গন্ধ এড়াতে কী করবেন?
এই ধরনের সমস্যা হলে ব্যবহার করতে পারেন ডাক্তার সম্মত ওষুধ যুক্ত বডি স্প্রে বা ডিও অথবা ওষুধ যুক্ত সাবান, পাউডার। সাধারণ বডি স্প্রে ব্যবহার করলে সাময়িক ভাবে উপকার হলেও আদপে কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। বাহুমূল পরিষ্কার এবং লোম মুক্ত রাখুন। রোজ জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে স্নান করুন। যাঁদের ঘামে দুর্গন্ধের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ওষুধযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। প্রতিদিন পরিষ্কার জামাকাপড় পরুন। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। তাতেও না যদি সমস্যা না কমে, তা’হলে কিন্তু প্রয়োজন চিকিৎসকের পরামর্শের। প্রয়োজনে নিয়মিত ওষুধ খেতে হতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।