উৎসবের সাজ হোক বা অফিসের, কিংবা বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান– সব ক্ষেত্রেই কিন্তু সঠিক জুতো বেছে নেওয়া জরুরি।
পোশাক কেনার চেয়েও জুতো কেনার জন্য হাতে রাখুন একটু বেশি সময়। চাই ধৈর্য আর প্রয়োজন সম্পর্কে সঠিক ধারণা।
বিশেষত পুজোর সময়ে। কারণ, সাজের সঙ্গে জুতোজোড়া মানানসই না হলে কিন্তু সবটাই মাটি! আবার পরে আরাম পাচ্ছেন কিনা, সেটাও ভাবতে হবে!
পুজোর জুতো কেনার আগে তাই মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি। যাতে স্বস্তির সঙ্গে জোট বাঁধে অসাধারণ লুক।
পুজোর দিনে, বিশেষত অষ্টমী ও নবমীতে বাঙালি মেয়েরা শাড়ি পরতেই ভালবাসে বেশি। সাধারণত শাড়ির সঙ্গে হালকা হিল দেওয়া জুতো বা ফ্ল্যাট জুতো বেশি মানায়।
তাই মাথায় রাখতে হবে, শাড়ির জন্য কখনওই পেন্সিল হিল দেওয়া জুতো কিনবেন না। নইলে সাজেও গোল বাধবে, অসুবিধে হবে চলাফেরাতেও।
পুজোর নতুন জামাকাপড় কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিন। যেমন সাবেক, পশ্চিমি এবং ফিউশন। এ বার পোশাকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন জুতো।
সাবেক সাজের সঙ্গে সাধারণত স্যান্ডেল বা হিল দেওয়া জুতো ভাল দেখায়। পশ্চিমি বা ফিুশন সাজের জন্য তোলা থাক স্টিলেটোজ়, বুটজুতো বা স্নিকার্স।
রঙিন জুতোর পরিবর্তে প্যাস্টেল শেডের বা গাঢ় রঙের জুতো কেনা ভাল। এগুলো প্রায় সমস্ত রঙের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়।
অনেকেই সমস্ত কেনাকাটা সেরে জুতোর জন্য রাখেন খুবই অল্প বাজেট। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
খুব সস্তার জুতো অনেক ক্ষেত্রে আরামদায়ক হয় না। আর জুতোজোড়া শুধু পুজোয় নয়, সারা বছরই পরবেন– সে কথা মাথায় রেখেই কেনা ভাল।
হাতে একটু সময় নিয়ে জুতো কিনুন। স্টাইলের পাশাপাশি কোনটা ভাল, কোনটা পরে আরাম লাগছে, সবটা ভাল করে বুঝে নিন।
অনেকে অনলাইনে জুতো কেনেন। সে ক্ষেত্রে জুতো কতটা আরামদায়ক, তা বোঝা যায় না কিন্তু। পরতে অসুবিধে হলে বা অস্বস্তি নিয়ে সেই জুতো পরে ঘুরলে পায়ের ক্ষতি হতে পারে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।