প্রতীকী চিত্র
আবহাওয়ায় গুমোট গরম আর যখন তখন এক পশলা বৃষ্টি হাত ধরাধরি করে চলেছে তো চলছেই। দুর্গাপুজো দোড়গোড়ায়। অথচ আবহাওয়ার মুখ ভার। আর এমন গড়বড়ে আবহাওয়ায় কাজের পর ক্লান্তি যেন কয়েক গুণ বেশি শরীরে চেপে বসছে। সঙ্গে প্রায় রোজ দিনের অফিস ফেরত রাস্তার যানজট, বাসে-ট্রেনে-ক্যাবে, এমনকী নিজের গাড়ির ভেতর অনির্দিষ্টকাল বসে থাকা! কখন যানজট ছাড়বে! কতক্ষণে বাড়ি ফিরবেন।
এহেন বিদঘুটে অবস্থায় কাজ ফেরত মানুষ সাংঘাতিক ক্লান্তি অনুভব করেন এখন। আর তখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি কাপ চা-কফি খাওয়া হয় যায় অবশ্যম্ভাবী, কেউ আবার এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে নেন অনেকে। কিন্তু এ গুলো শরীরে উপকারের চেয়ে অপকার করে বেশি। উপায়? পরের সকালেই আবার কাজে বেরোতে হয়, ফের অফিস ছোটার ব্যাপার থাকে। সুতরাং, তার আগে ক্লান্ত শরীরকে আবার কীভাবে চাঙ্গা করে তোলা যায়, সেটা আধুনিক সময়ে কর্মরত মানুষজনের একটা বড় দুশ্চিন্তা, টেনশনও! ঘাবড়ানোর কিছু নেই। উপায় আছে। সেটাও সহজ উপায়। এমনকী মাত্র ১০ মিনিটে ক্লান্তির হাত থেকে পরিত্রাণ দেবে সেই উপায়। মাত্র ৪টে টোটকায়।
১. সকালে ভাল করে প্রাতরাশ করবেন। অনেক আছেন প্রাতরাশ করতে চান না সেভাবে। ওই যা হোক, কোনও রকমে কিছু ব্রেকফাস্ট করে কাজে বেরিয়ে পড়েন। এক দম সেটা করবেন না। ডাহা ভুল। সকালের প্রাতঃরাশ পেট ভরে করুন। তা হলে, এমনিতেই দেখবেন, অনেক পরিশ্রম সত্ত্বেও অতটা বেশি ক্লান্তবোধ আপনি করছেন না।
২. সারাদিন জল বেশি করে খেতে একদম ভুলবেন না। নূন্যতম ১০-১২ গ্লাস জল খেতেই হবে। অর্থাৎ, আড়াই থেকে তিন লিটার সারা দিনে। ক্লান্তি অনুভব করলেই সঙ্গে সঙ্গে বেশ খানিকটা জল খেয়ে নিন। পারলে সঙ্গে তাতে এক চিমটে নুন ও চিনি মিশিয়ে নিন। নুন-চিনির জল শরীরের ক্লান্তি চটজলদি দূর করে।
৩. ফুটবাথ্ নিন রোজ কাজের পর বাড়ি ফিরে। শুধু শরীরের ক্লান্তিই নয়, মানসিক ক্লান্তি বোধও নিমেষে উধাও হয়ে যাবে। এক গামলা হালকা গরম জলে এক চামচ নুন ফেলে সেই জলে দু’পায়ের পাতা টানা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো কাপড়ে মুছে নিন। দেখবেন পায়ের ব্যথা, শারীরিক ক্লান্তি সব পালিয়ে মনটাও তরতাজা লাগছে!
৪. এক মুঠো বাদাম খান। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম আছে। যা শরীরের শক্তি বাড়ায়। কাঠের খোলায় ভাজা বাদাম হলে আরও ভাল। ক্লান্ত শরীরে বাদাম খেলে চট করে আবার এনার্জি ফিরে পাবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।