ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার জন্য চোখ বন্ধ করে পার্লার বা সাঁলো একমাত্র গন্তব্য হয়ে ওঠে। কিন্তু, বর্তমানে সাঁলো কি শুধুই এইটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ? নাকি এমন কোনও সাঁলো রয়েছে, যারা বাহ্যিক সৌন্দর্য ছাড়াও অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের দিকে নজর দেয়।
ল্যাভেন্ডার পার্ক প্রফেশনাল সাঁলো অ্যান্ড স্পা কলকাতার বুকে নিয়ে এল এই পরিষেবা। হরমোনাইজেশন, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, কনসাল্টেশনের মাধ্যমে বিউটিফিকেশন এবং এসথেটিকসের মেলবন্ধনই তাদের মূল আকর্ষণ।
“সুন্দর চোখের জন্য, অন্যের মধ্যে ভাল দেখ, সুন্দর ঠোঁটের জন্য, উদারতার কথা বল…” হলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের এই কথায় ভর করেই এই পরিকল্পনা সাঁলোর কর্ণধার শ্রী ঘোষের।
শ্রী-র কথায়, “কেউ যখন গ্রুমিং বা রূপটানের জন্য আসেন, পুরোপুরি ভাবে তাঁর নিজস্ব সত্ত্বার পরিবর্তন করে দেওয়া ঠিক নয়। আমি নিজে এমনটা মেনে চলি।”
“বিউটিফিকেশন আমরা সবাই চাই। কিন্তু নিজের স্বতন্ত্রতা যাতে বজায় থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করি আমি। বড় বেশি কৃত্রিম না হয়ে ওঠে যেন,” বলছেন সাঁলোর কর্ত্রী। অর্থাৎ তথাকথিত সুন্দরের বেড়া টপকে নিজের মতো থাকাই হল প্রকৃত সৌন্দর্য।
মানুষ যাতে এই বিষয়ে সচেতন হন, সে জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার ও ওয়ার্কশপ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, পিস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ ভাবে ‘সেভ বার্ড ক্যাম্পেন’-এর এর নানা কার্যকলাপে অংশ নিয়ে চলেছে এই সাঁলো।
সম্প্রতি ১২ অগস্ট এই সাঁলোর উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়। সেখানে পাখির বাসা বিতরণ করা হয় গ্রাহকদের। নারকেলের ফাইবার থেকে তৈরি এই বাসা। উদ্দেশ্য, মানুষ খোলা জায়গায় অথবা ব্যালকনিতে সেটি রেখে দিলে পাখিরা আশ্রয় নিতে পারবে।
পিস ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই হাত বাড়াল এই সাঁলো। শ্রী-র কথায়, “মূলত বাঁকুড়া এবং বীরভূম জেলার উপজাতি সম্প্রদায় এই নেস্টগুলি বানিয়ে থাকেন, আমরা সেগুলি বিতরণ করছি।”
পুজো শেষের মুখে, মন ভারাক্রান্ত হওয়ার পথে হাঁটা দিচ্ছে? নিজের যত্ন নিতে এক বার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন এই সাঁলোয়।