প্রতীকী ছবি
ষষ্ঠীতে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক, ম্যাডক্স স্কোয়ার; সপ্তমীতে মহম্মদ আলি পার্ক কিংবা অষ্টমীতে উত্তর কলকাতার অলিগলি ঘুরে ঠাকুর দেখার রকমারি পরিকল্পনা না হলে বাঙালির দুর্গাপুজো হয় নাকি!
এ ছাড়াও বছরভর চলে কত রকম প্রস্তুতি! কলকাতার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে ফেলে কেনাকাটা, পুজোর সাজ থেকে খাওয়াদাওয়া, ঠাকুর দেখার প্ল্যান। আর সে সব করতে পুজোর প্রায় এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় দেদার হাঁটাহাঁটি। যার জেরে যে কোনও রকম পায়ের সমস্যা দেখা যেতে পারে অল্পবয়েসি থেকে প্রৌঢ় সকলের মধ্যেই।
ভাবছেন, পায়ের ব্যথায় পুজোটাই মাটি হতে পারে? একেবারেই না! এই প্রতিবেদনেই রয়েছে তার মুশকিল আসান! ডাঃ সন্তোষ কুমার জানাচ্ছেন, কোন কোন পদক্ষেপে আপনি নিজের হাঁটু ও পায়ের সমস্যা থেকে নিজেকে ও পরিবারের বাকিদের সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
ভরসা ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট-
ডাঃ কুমারের মতে, যাঁদের পায়ের সমস্যা আছে, তাঁরা পুজোয় ঘোরাঘুরির দু’চার দিন আগে থেকেই কোলাজেন পেপটাইড খেতে শুরু করতে পারেন। এটি এক ধরনের ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট, যা অস্থিসন্ধি ও হাড়কে মজবুত করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই ক্রনিক হাঁটু ব্যথার রোগীরা দিনে এক বার করে এই সাপ্লিমেন্ট কোলাজেন পেপটাইড খেয়ে দেখতে পারেন।
শরীরচর্চায় নজর থাকুক-
শরীরচর্চা ছাড়া কোনও ভাবেই পায়ের সমস্যা থেকে মুক্তির পথ নেই। তাই পুজোয় ঠাকুর দেখতে গিয়ে এক দিন হঠাৎ করে হাঁটার বদলে রোজ অল্প অল্প করে শরীরচর্চা করে শরীরকে সচল ও সতেজ রাখুন। তা হলেই আর সমস্যা হবে না।
সঙ্গে থাকুক ব্যথার দাওয়াই-
শুধু ওষুধপত্র বা শরীরচর্চাই নয়, সঙ্গে রাখুন ক্রেপ ব্যান্ডেজ। বয়স্ক সদস্য সঙ্গে বেরোলে তাঁর জন্য নিন ওয়াকিং স্টিক।
যত্ন নিন কময়েসিরাও-
অনেক সময়ে কমবয়েসিদের মধ্যেও পায়ের সমস্যা দেখা দেয় স্নায়ুর জটিলতার কারণে। তাঁরাও পুজোর কয়েক দিন আগে থেকে কোলাজেন পেপটাইড খেতে পারেন। আর অবশ্যই ক্রেপ সঙ্গে রাখা ভাল।
এ ছাড়াও ডাঃ কুমারের বিশেষ টিপস- একটানা কখনওই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাকুর দেখবেন না। পুজোর সময়ে আনন্দের আমেজে অবহেলা করবেন না নিজের শরীরকে। একটু পরে পরে বিরতি নিন। খুব ভিড়ের মধ্যে অনেক ক্ষণ লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা থেকে বিরত থাকুন। বয়স্করা নি-ক্যাপ পরে নিতে পারেন বাড়ি থেকে বেরনোর আগে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।