প্রতীকী ছবি
মাথার চুল থেকে পায়ের নখ চকচকে রাখতে কোরিয়ান পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। রূপচর্চার কথা উঠলে সর্বপ্রথম যে শব্দ মাথায় আসে, তা হল কোরিয়া। ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার বিষয়ে কোরিয়ান প্রসাধনীর জুড়ি মেলা ভার। বর্তমানে নানা রকম কোরিয়ান রূপচর্চার সামগ্রীর চল রয়েছে। কিন্তু প্রাচীন কালে কী ভাবে রূপচর্চা করতেন সেখানকার মানুষ? আসুন, দেখে নেওয়া যাক ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করা হত সেই সময়ে।
জোডু
ত্বকের পরিচর্যার প্রথম ধাপ হল ফেসওয়াশ। প্রাচীন কালে কোরিয়ায় সাধারণত যে ফেসওয়াশ ব্যবহার করা হত, সেটি হল জোডু। বিভিন্ন রকম বিনস, মুগ ডাল, সয়াবিন মাইলস্টোনে ঘষে গুঁড়ো করে নেওয়া হত। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবহার হত সেই গুঁড়ো। অন্য দিকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মহিলারা চাল এবং গমের ভুষি ব্যবহার করতেন ফেসওয়াশ হিসাবে। জসিউন সৌন্দর্য সাম্রাজ্যের পরামর্শ অনুযায়ী রূপচর্চার পদ্ধতি ঠিক করা হত।
ময়েশ্চারাইজার
এ ক্ষেত্রে লাউয়ের ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। ফুলদানিতে জলের মধ্যে এক টুকরো স্কোয়াশ রেখে সেই রস সংগ্রহ করে মুখে লাগানো হত। শসা অথবা মধুও ব্যবহার হত ময়েশ্চারাইজার হিসাবে। ব্যবহার্য ক্রিমের সঙ্গে পুদিনা পাতার নির্যাস মিশিয়ে নেওয়া হত মুখে ঠান্ডা ভাব অনুভবের জন্য। শুষ্ক ত্বকের জন্য ছিল অন্য উপায়। তিনটে ডিম ফাটিয়ে পানীয়ের মধ্যে মিশিয়ে নিয়ে বায়ুরোধী জারে রেখে দেওয়া হত এক মাস। তার পরে এটি ব্যবহার করা হত। উদ্দেশ্য, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি।
চুল
গ্যাচে – একপ্রকার পরচুলা যেটি বিনুনির সঙ্গে পরা হত চুলের ঘনত্ব বেশি দেখানোর উদ্দেশ্যে। জানা যায়, এটি পরে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ, সৌন্দর্যের প্রতি সংস্কার সামাজিক সমস্যা তৈরি করে ফেলছিল। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভরসা ছিল তিল তেল। মোটা দাঁড়া যুক্ত চিরুনি ব্যবহার করা হত চুলের জট ছাড়াতে। আর পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হত সরু দাঁড়া যুক্ত চিরুনি। চুল আঁচড়ে নেওয়ার পর খুব শক্ত করে বিনুনি বেঁধে নেওয়া হত।
এখন বেশ কিছু আধুনিক কোরিয়ান রূপচর্চার সামগ্রী জনপ্রিয়। তবে পুরনো প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করেও দেখতে পারেন কিন্তু!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।