পুজোর আগে সুস্থ রাখুন হৃদযন্ত্রকে। ফাইল চিত্র।
করোনা অতিমারির আবহে হার্টের অসুখ আছে, এমন মানুষদের বিশেষ প্রয়োজন না হলে বাইরে যাওয়া মানা। কিন্তু পুজোর সময় কি দুয়ারে খিল এঁটে ঘরে বসে থাকা যায়! মোটেও সেরকমটা করার দরকার নেই। ঠাকুর দেখতে যাবার আনন্দের শরিক হতে বাধা নেই হার্টের রোগীদেরও, বললেন কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট প্রকাশচন্দ্র মণ্ডল। কিন্তু এই কোভিড পরিস্থিতিতে অন্যান্যদের তো বটেই, হার্টের রোগীদের কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলা উচিত।
নভেল করোনা ভাইরাসের ছোঁয়াচ এড়াতে পুজোর সাজের সঙ্গে মাস্ককেও সঙ্গী করে নেওয়ার পরামর্শ প্রকাশবাবুর। হার্টের অসুখ নিয়ে পুজোর আনন্দ উপভোগ করার কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিলেন পি সি মণ্ডল। পুজোর সময় শুধু শহর কলকাতা বা বড় শহর নয় মফস্সল আর গ্রামের পথে পথেও মানুষের ঢল নামে।
এ বারের নভেল করোনাভাইরাসের ভয়ে হয়ত বা প্যান্ডেলে প্যন্ডেলে মানুষের ভিড় কিছুটা কম হবে। তাই হার্টের অসুখ নিয়ন্ত্রণে রেখে ঠাকুর দেখতে বেরোন একটু সকাল সকাল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ে, তাই ৫ -৩০ থেকে ৬টার মধ্যে বেরিয়ে ৯টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করতে হবে। তবে হার্টের অসুখ থাকলে একটা কথা ভুললে চলবে না, যে কোনও রকম শারীরিক অস্বস্তি হলে কাল বিলম্ব না করে বাড়ি ফিরে এসে বিশ্রাম নিতে হবে। প্যান্ডেলে গিয়ে যদি কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন মাস গ্যাদারিং মেডিসিন এর সাহায্য নিতে হয়। বড় পুজোর মণ্ডপে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা থাকে। চিকিৎসক ও অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ ও ভলান্টিয়ারদের মাস গ্যাদারিং মেডিসিন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে ভাল হয়। আর সাধারণ মানুষেরও এই বিষয়ে কিছুটা জ্ঞান থাকা দরকার বলে মনে করেন প্রকাশবাবু।
আরও পড়ুন: দু মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে চান? মেনে চলুন এই ডায়েট
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় যেসব লক্ষণ দেখলে সাবধান হতে হবে –
আরও পড়ুন: লেবু জল, গ্রিন টি আর অঞ্জলি, মাতিয়ে দিন পুজো
সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন। ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রেডিয়োতে না শুনলে মহালয়ার আসল আমেজই পাওয়া যাবে না
আরও পড়ুন: পুজোর সময় ত্বক খসখসে? কী কী মেনে চলতে হবে
এ ছাড়া পুজো উদ্যোক্তা ও পুলিশকর্মীদের অনুরোধ তাঁদের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে বেসিক লাইফ সাপোর্ট ট্রেনিং করিয়ে নিন। মণ্ডপে প্রবেশ ও বেরনোর যেন পর্যাপ্ত থাকে। আর অতিমারির এই বছরটা যে অন্যান্য বছরের থেকে আলাদা সে বিষয়টা সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত। কোথাও যেন লাগামছাড়া ভিড় না হয় খেয়াল রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। নিয়ম মেনে পুজো কাটান, নিজে ভাল থাকলে কাছের মানুষরাও ভাল থাকবেন।