ব্রণ কখনও খুঁটবেন না, পরামর্শ চিকিৎসকের। ফাইল চিত্র।
করোনা আবহে যে কোনও সংক্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধান হতে হবে। বাড়িতে অনেকেরই বাচ্চা রয়েছে, যারা বয়ঃসন্ধিতে পড়েছে। এই সময় একটা বড় সমস্যা ব্রণ। করোনা আবহে বাইরে বেরনো একেবারেই মানা। কিন্তু ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতেই ব্রণকে ঠেকিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
ঘাড়ে বা গলায় ব্রণ তখনই হয়, যখন মাথায় তেল পড়ে। ২-৩ ঘণ্টা অন্তর মুখে তেলবিহীন সানস্ক্রিন লাগালে সমস্যা থেকে খানিক রেহাই মেলে। বাজারচলতি তেলহীন ক্রিমে ভরসা না থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সানস্ক্রিন বাছুন। মাথায় খুশকি থাকলে তারও যত্ন নিতে হবে। খুশকি সারাবে, এমন মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার রাখুন। কোনও রকম তেল-মশলা চলবে না। প্রসাধনও নয়, চামড়াকে মোলায়েম ও মসৃণ করতে ওই সানস্ক্রিনেই ভরসা রাখতে হয়।
কিন্তু বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যা দিয়ে ব্রণকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন। বাড়িতে বেশ কিছু মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন যা প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে এ জাতীয় মাস্ক বানানোর আগে হাত সম্পূর্ণভাবে স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: লেবু জল, গ্রিন টি আর অঞ্জলি, মাতিয়ে দিন পুজো
ঘরোয়া উপদানে জব্দ করুন ব্রণকে। ফাইল চিত্র।
ব্ল্যাকহেডসের জন্য:
কীভাবে বানাবেন মাস্ক
লেবু আর মধুর ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নাক ও তার চারপাশে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর, আস্তরণটি আলতো করে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে দিন। টোম্যাটোর বীজ আর রস ঘষলেও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে।
তুলসি আর লেবুর ব্যবহারের কমে ব্রণ
ব্রণর উপরে লেবুর রস লাগিয়ে সারা রাত রেখে দেওয়া যায় কারণ এতে থাকে সাইট্রিক অ্যআসিড। সকালে উঠলে দেখবেন, ব্রণ শুকনো হয়ে খসে যাচ্ছে। অনেক বাচ্চার ত্বকে লেবুর রস সহ্য হয় না। সে ক্ষেত্রে তুলসি পাতা বেটে বা ডিমের সাদা অংশ লাগালে সংক্রমণ কমতে পারে।
আরও পড়ুন: দু মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে চান? মেনে চলুন এই ডায়েট
অ্যাকনেতে অস্ত্র হোক চন্দন বাটা
চন্দন বাটার সঙ্গে কমলালেবু বা লেবুর রস আর এক চামচ মধু মেশান। এই প্যাক মুখে মাখিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে দিন। এই প্যাক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূরে রাখতে হবে। তবে অ্যাকনে সহজে যেতে চায় না। তা থেকে মুক্তির জন্য ত্বকের যত্নের সঙ্গে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা ও শরীরচর্চাও জরুরি।
পলিসিস্টিক ওভারি সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে বা ব্রণ না কমলে চিকিৎসকের পরমর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।