সারা বছর কাজের চাপে হয়তো নাওয়াখাওয়ার সময় পান না৷ কোনও মতে দুটো নাকেমুখে গুঁজে দিন গুজরান করেন৷ বা ছিপছিপে হওয়ার তাগিয়ে ডায়েটিং করেন বছরভর। অনেকে আবার পুজোর আগে ওজন কমাতে ক্র্যাশ ডায়েটিং করেছেন প্রাণভরে৷ এখন এই আনন্দের অনুষঙ্গে শরীরও কিন্তু তার শোধ তুলবে৷
উৎসবের আমেজে এমনিতেই সকলে কমবেশি একটু বাঁধনছাড়া হয়ে যান, তার উপর রাস্তাঘাটে খাবারের যেন মেলা বসে যায় পুজোর সময়। বাড়িতেও রান্না হচ্ছে দেদার মাংস–পোলাও৷ আজ এ বাড়ি নেমন্তন্ন তো কাল সে বাড়ি৷ ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে ভরা পেটে আরও খানিকটা খেয়ে নিচ্ছেন৷ তার উপর যদি বেড়াতে যান তো হয়েই গেল! খাবারের বিচারবোধ লুপ্ত হতে বেশি সময় লাগবে না৷
ভাবছেন, খাবারের এই আধিক্যে কেবল ওজন বাড়বে বা পেটের গোলমাল হবে? না, আরও বিপদ হতে পারে৷ তা কিন্তু নয়। বরং বেশি খাবারে সমস্যা দেখা দিতে পারে আরও।
সুখাদ্যের বিপদ
হাই কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা থাকলে ৭–১০ দিন ধরে খাসির মাংস, ডিমের কুসুম, ঘি–মাখন বা বনস্পতিতে বানানো খাবার, সিগারেট, ভাজা, তৈলাক্ত খাবার, চিজ, ফাস্ট ফুড খেলে পুজোর পর সব মাত্রা ছাড়াতে পারে৷
হাই প্রেশারের রোগী হাত খুলে নোনতা খাবার, ছাঁকা তেলে ভাজা, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, সস, আচার, পাপড়, চানাচুর, চিপস, সিগারেট খেতে শুরু করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না একেবারেই।
হাই প্রেশার–সুগার–কোলেস্টেরল বা হৃদরোগ থাকলে, পরিবারে অকালে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে অতিরিক্ত পানভোজন ও লেটনাইটে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে৷
হাই কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা থাকলে ৭–১০ দিন ধরে খাসির মাংস, ডিমের কুসুম, ঘি–মাখন বা বনস্পতিতে বানানো খাবার, সিগারেট, ভাজা, তৈলাক্ত খাবার, চিজ, ফাস্ট ফুড খেলে পুজোর পর সব মাত্রা ছাড়াতে পারে৷
হাই প্রেশারের রোগী হাত খুলে নোনতা খাবার, ছাঁকা তেলে ভাজা, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, সস, আচার, পাপড়, চানাচুর, চিপস, সিগারেট খেতে শুরু করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না একেবারেই।
হাই প্রেশার–সুগার–কোলেস্টেরল বা হৃদরোগ থাকলে, পরিবারে অকালে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে অতিরিক্ত পানভোজন ও লেটনাইটে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে৷
আরও পড়ুন: উৎসবের মরসুমে দেদার পার্টি? অনিয়মে মিশিয়ে নিন নিয়মের ককটেল
মদ্যপানে রাশ টানুন অবশ্যই। না খেলেই ভাল। একান্ত খেতে হলেও এক পেগের বেশি নয়। রোজ মদ একেবারেই ভরাপেটে মদ খান আর সঙ্গের ভাজাভুজি বাদ দিন।
গাউট থাকলে রেড ওয়াইন, বাগদা ও গলদা চিংড়ি, রেড মিট, মেটে–কিডনি–ব্রেন, মাংসের সুপ, ডিম এবং গুরুপাক খাবার খাওয়ার আগে দু’বার ভাবুন৷ মাশরুম, পালং, শুকনো বিন, মটর ডাল, বাদাম, সবেদা, আতা, টম্যাটো, আচারও খান কম খান৷
সুগারের রোগী মিষ্টি ও ময়দার খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্ক বাদ দিন৷ এক–আধটা খেয়ে ফেললে ভাত বা রুটি অর্ধেক করে দিন৷ ভাজাভুজি, রেডমিট, ঘি–মাখনে বানানো খাবার কম খান৷
মদ্যপানে রাশ টানুন অবশ্যই। না খেলেই ভাল। একান্ত খেতে হলেও এক পেগের বেশি নয়। রোজ মদ একেবারেই ভরাপেটে মদ খান আর সঙ্গের ভাজাভুজি বাদ দিন।
গাউট থাকলে রেড ওয়াইন, বাগদা ও গলদা চিংড়ি, রেড মিট, মেটে–কিডনি–ব্রেন, মাংসের সুপ, ডিম এবং গুরুপাক খাবার খাওয়ার আগে দু’বার ভাবুন৷ মাশরুম, পালং, শুকনো বিন, মটর ডাল, বাদাম, সবেদা, আতা, টম্যাটো, আচারও খান কম খান৷
সুগারের রোগী মিষ্টি ও ময়দার খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্ক বাদ দিন৷ এক–আধটা খেয়ে ফেললে ভাত বা রুটি অর্ধেক করে দিন৷ ভাজাভুজি, রেডমিট, ঘি–মাখনে বানানো খাবার কম খান৷
চকোলেট, চিজ, আচার, চাইনিজ, ফাস্ট ফুড, সয়া সস, কেক, পেস্ট্রি, পিৎজা, কফি, টক ফল বা আর যা খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হয়, তা খাবেন না৷ পেট একটু খালি রেখে খান৷
সিওপিডি বা হাঁপানি থাকলে বরফ ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক, ঠান্ডা জল, বরফ একেবারেই নয়৷ সিগারেট থেকেও দূরে থাকুন৷
অম্বল, আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিসের রোগীরা পেট খালি রাখবেন না৷ গুরুপাক খাবার এবং যে খাবারে সমস্যা হয় তা কম খান৷
চকোলেট, চিজ, আচার, চাইনিজ, ফাস্ট ফুড, সয়া সস, কেক, পেস্ট্রি, পিৎজা, কফি, টক ফল বা আর যা খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হয়, তা খাবেন না৷ পেট একটু খালি রেখে খান৷
সিওপিডি বা হাঁপানি থাকলে বরফ ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক, ঠান্ডা জল, বরফ একেবারেই নয়৷ সিগারেট থেকেও দূরে থাকুন৷
অম্বল, আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিসের রোগীরা পেট খালি রাখবেন না৷ গুরুপাক খাবার এবং যে খাবারে সমস্যা হয় তা কম খান৷
আরও পড়ুন: পুজোর আগে এই ডায়েট মেনে চলুন! তা হলেই পাবেন নজরকাড়া ফিটনেস!
ফ্যাটি লিভার থাকলে চকোলেট, আইসক্রিম, ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার, মাংস, বিরিয়ানি, অতিরিক্ত তেল–ঘি–মাখন–চর্বি জাতীয় খাবার বাদ দিন৷ খেলেও পুজোর একটা বেলা হালকা খান খুব।
ওজন খুব বেশি হলে তৈলাক্ত খাবার, মিষ্টি, ভাজা খাবেন না৷ ‘এক দিনে ক্ষতি হয় না’, এই তত্ত্বই বিপজ্জনক, মনে রাখবেন৷
যে খাবারে অ্যালার্জি আছে জানেন, অ্যান্টিঅ্যালার্জির ভরসায় তা না খাওয়াই ভাল৷ বাইরে বেড়াতে গেলে তো বিশেষ করে সাবধান হতে হবে৷ আচমকা বাড়াবাড়ি হলে কিন্তু বিপদে পড়বেন৷
পুজোর সময় বেশির ভাগ রেস্তরাঁর খাবারের মান অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা নিম্নমানের থাকে। তাড়াহুড়োয় বানানো খাবারে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই কোন রেস্তরাঁয় খাবেন, তা কতটা বিশ্বস্ত, এগুলো বুঝেই খাওয়াদাওয়া করুন। পুজোর সময় নতুন রেস্তরাঁয় না খেয়ে পরিচিত জায়গাতেই খান।
ফ্যাটি লিভার থাকলে চকোলেট, আইসক্রিম, ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার, মাংস, বিরিয়ানি, অতিরিক্ত তেল–ঘি–মাখন–চর্বি জাতীয় খাবার বাদ দিন৷ খেলেও পুজোর একটা বেলা হালকা খান খুব।
ওজন খুব বেশি হলে তৈলাক্ত খাবার, মিষ্টি, ভাজা খাবেন না৷ ‘এক দিনে ক্ষতি হয় না’, এই তত্ত্বই বিপজ্জনক, মনে রাখবেন৷
যে খাবারে অ্যালার্জি আছে জানেন, অ্যান্টিঅ্যালার্জির ভরসায় তা না খাওয়াই ভাল৷ বাইরে বেড়াতে গেলে তো বিশেষ করে সাবধান হতে হবে৷ আচমকা বাড়াবাড়ি হলে কিন্তু বিপদে পড়বেন৷
পুজোর সময় বেশির ভাগ রেস্তরাঁর খাবারের মান অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা নিম্নমানের থাকে। তাড়াহুড়োয় বানানো খাবারে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই কোন রেস্তরাঁয় খাবেন, তা কতটা বিশ্বস্ত, এগুলো বুঝেই খাওয়াদাওয়া করুন। পুজোর সময় নতুন রেস্তরাঁয় না খেয়ে পরিচিত জায়গাতেই খান।