চুল পড়ার সমস্যা
পুজো ক্রমশ এগিয়ে আসছে, এ দিকে চুল ঝরার পরিমাণও দিন দিন বেড়েই চলেছে। চেষ্টার ত্রুটি নেই। শ্যাম্পু, প্যাক, সেরাম সবই ফেল। পুজোয় চুলের সাজ নিয়ে জটিলতা বাড়ার আগেই তাই সতর্ক হোন। আসলে চুল পড়ে যাওয়ার নেপথ্যে অনেক সময় কিছু শারীরিক কারণ থাকতে পারে। তাই বেশি চুল পড়ে গেলে চিকিৎসকের শরণ নিতে বললেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সন্দীপন ধর।
ব্যস্ততার যুগে চুলের যত্নের সময় না থাকায় চুলের যত্ন ঠিক মতো হয় না। তাই স্টাইল, ফ্যাশন সব কিছুই ছোট চুলের উপর ভর দিয়েই করতে হয়। তবে চুল ঝরা নিয়ে খুব চিন্তার কিছু নেই। চিকিৎসকদের সাফ নিদান, মাথা থাকলেই যেমন মাথা ব্যথা করে তেমনই চুল থাকলেই চুল ঝরে। আসলে চুলেরও নির্দিষ্ট একটি আয়ু আছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রতি দিনই কিছু পুরনো চুল ঝরে যায়, একই সঙ্গে নতুন চুল গজায়। কিন্তু মাঝে মাঝে আঁচড়ালেই রাশি রাশি চুল উঠে আসে, শ্যাম্পু করলেও তাই।
অবশ্য এই সমস্যা শুধু আমার-আপনাদের নয়, পৃথিবীর প্রতি চার জনের এক জন চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন কসমেটিক্সের ব্যবহার করে সমস্যা আরও বাড়িয়েও তোলেন। অবশ্য কিছু বড় অসুখের পর হু হু করে চুল পড়ে যায়। সমস্যাটা হয় তখনই, যখন যে অনুপাতে চুল ঝরে তার থেকে কম চুল গজালে। এক জন মানুষের দিনে ১০০ টা পর্যন্ত চুল ঝরে যেতে পারে। তবে নাগাড়ে চুল ঝরতে থাকলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞে পরামর্শ নেওয়া উচিত বইকি।
চুল গজানো থেকে ঝরে যাওয়ার মধ্যে তিনটি পর্যায়ে আছে। অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন ও টেলোজেন। চুল গজানোর পর বেড়ে ওঠে অ্যানাজেন ফেজে। ক্যাটাজেন অবস্থায় চুল আর বাড়ে না। টেলোজেন দশায় চুল ঝরে যায়।
চুল গজানো থেকে ঝরে যাওয়ার মধ্যে তিনটি পর্যায়ে আছে। অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন ও টেলোজেন। চুল গজানোর পর বেড়ে ওঠে অ্যানাজেন ফেজে। ক্যাটাজেন অবস্থায় চুল আর বাড়ে না। টেলোজেন দশায় চুল ঝরে যায়।
আরও পড়ুন: পুজোর অনিয়মে বাড়তে পারে কোমরের মেদ, এ সব মানলে সে ভয় নেই
চুল পড়ার এক অন্যতম কারণ খুশকি। অনেক সময় সোরিয়াসিস নামক ত্বকের অসুখে খুস্কির মতই মাথায় চাবড়া উঠে যায়। এ ক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহারে করা উচিত।
এক সঙ্গে অনেক চুল ঝরে যেতে শুরু করলে কয়েকটা টেস্ট করাতে হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করানো দরকার। অ্যানিমিয়া থাকলে চুল পড়া বেড়ে যায়। আবার থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য হলেও চুল ওঠে।
কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট করানো দরকার। আবার অনেক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও ভিটামিনের অভাবেও চুল পড়ে যায়। তাই ডিম, মাছ, দুধের সঙ্গে সঙ্গে স্ময়ের ফল ও সব্জি খেতে হবে।
চুল পড়ার এক অন্যতম কারণ খুশকি। অনেক সময় সোরিয়াসিস নামক ত্বকের অসুখে খুস্কির মতই মাথায় চাবড়া উঠে যায়। এ ক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহারে করা উচিত।
এক সঙ্গে অনেক চুল ঝরে যেতে শুরু করলে কয়েকটা টেস্ট করাতে হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করানো দরকার। অ্যানিমিয়া থাকলে চুল পড়া বেড়ে যায়। আবার থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য হলেও চুল ওঠে।
কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট করানো দরকার। আবার অনেক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও ভিটামিনের অভাবেও চুল পড়ে যায়। তাই ডিম, মাছ, দুধের সঙ্গে সঙ্গে স্ময়ের ফল ও সব্জি খেতে হবে।
আরও পড়ুন: চুল পাতলা হয়ে ঝরে যাওয়া রুখতে পুজোর আগেই সহজ এই উপায় আয়ত্তে আনুন
নিয়মিত শ্যম্পুর পাশাপাশি তেল দিয়ে চুলের গোড়া মাসাজ করতে হয়। মাসাজের ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বেড়ে গিয়ে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হয়।
দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়। এর ফলেও চুল ঝরে যাবার প্রবণতা বেড়ে যায়।
আবার সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, অ্যালার্জি ইত্যাদির কারণে খুব মাথা চুলকোয়, এর ফলেও চুল পড়ে যায়। ওষুধ ব্যবহারে এই সমস্যার সমাধান হয়।
নিয়মিত শ্যম্পুর পাশাপাশি তেল দিয়ে চুলের গোড়া মাসাজ করতে হয়। মাসাজের ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বেড়ে গিয়ে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হয়।
দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়। এর ফলেও চুল ঝরে যাবার প্রবণতা বেড়ে যায়।
আবার সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, অ্যালার্জি ইত্যাদির কারণে খুব মাথা চুলকোয়, এর ফলেও চুল পড়ে যায়। ওষুধ ব্যবহারে এই সমস্যার সমাধান হয়।
মেয়েদের অন্য কয়েকটি কারণে চুল পড়ে যায়। মা হওয়ার পরে ও মেনোপজ হলে হরমোনের তারতম্যের চুল ঝরে যাবার ঝুঁকি বাড়ে।
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও চুল ঝরে যায়।
মেয়েদের অন্য কয়েকটি কারণে চুল পড়ে যায়। মা হওয়ার পরে ও মেনোপজ হলে হরমোনের তারতম্যের চুল ঝরে যাবার ঝুঁকি বাড়ে।
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও চুল ঝরে যায়।
তবে যে কারণেই চুল পড়ুক না কেন পার্লারে যাওয়ার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভাল হয়। নিয়মিত মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে পুজোর আগেই চুইয়েহয়ে উঠুক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।