Durga Puja Celebration

পুজোয় বেড়াতে যাচ্ছেন? বাড়ির বাইরে থেকেই গাছেদের যত্ন নিন এ ভাবে

নিশ্চিন্তে ঘুরে আসুন। গাছে জল দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:০০
Share:

গাছ নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হল বলে।

বাড়ি কেবল মানুষের জন্যই নয়, গাছেরাও আজকাল বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে গাছ তো কোথাও জল-খাবারের জন্য মানুষের উপর নির্ভরশীলও বটে। বাড়ির গ্রিল জড়িয়ে কুমড়ো ফুল বা বারান্দার টবে ঝাঁকড়া রঙ্গনের বনসাই। কোনও টবে নয়নতারা তো তার পাশেই চন্দ্রমল্লিকা পাপড়ি মেলেছে। বাড়িতে সকলে থাকলে ওদের যত্নআত্তির অভাব নেই। আলো-হাওয়ায় সানন্দে বাড়তে থাকে ওরা। কিন্তু বাড়ির অভিভাবকরা যদি বাড়ি না থাকেন, তখন?

Advertisement

দিন কয়েকের জন্য পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাচ্ছেন? কিংবা অন্য কোনও সময় অনেক দিন ফাঁকা বাড়ি থাকবে? কোথাও বেরলেই বাগানের যত্ন নেওয়ার চিন্তা আমাদের ভাবায় বইকি! যে ক’দিন আপনি বাড়িতে থাকবেন না, সে ক’দিন গাছগুলোর জল কে জোগাবেন, যত্ন কে নেবেন— সে সব চিন্তার ভাঁজ ফেলে। মনে রাখবেন, বেঁচে থাকার জন্য ওরা কিন্তু আপনার উপরেই কিছুটা নির্ভরশীল। তা বলে কি বাইরে বেরবেন না? তা-ও নয়। বরং আপনি বাড়িতে না থেকেও ওদের রসদ জোগাতেই পারেন।

এমন কিছু উপায় আজ জানাব, যা জেনে নিলে বাড়ির বাইরে থাকলেও সমান যত্ন নিতে পারবেন বাড়ির গাছগাছালির। কিচেন গার্ডেনের গাছ ঝিমিয়ে যাবে ভেবে আর চিন্তায় পরতে হবে না। দেখে নিন সে সব উপায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রেনে বেড়াতে যাচ্ছেন? জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য​

বোতলবন্দি: গাছে জল দিতে বোতলকে অনেক ভাবেই কাজে লাগানো যায়। প্রথমে একটি বোতল নিয়ে তার গলা পর্যন্ত জল ভরে নিতে হবে। সেই জলেই কিছু সার গুলে দিতে পারেন। তার পর বোতলের মুখ বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে উলটে দিন। ধীরে-ধীরে বোতলের মুখ গুঁজে দিন টবের মাটিতে। বোতলটা উলটে থাকবে। এক দিকে একটু হেলে থাকলেও অসুবিধে নেই। এ বার বোতলের পিছন দিকে জলের মাত্রায় দাগ দিয়ে দিন। কয়েক ঘণ্টা বাদে দেখুন জল সেই লেভেল থেকে নীচে নেমেছে কি না। তা হলে বুঝতে পারবেন জল পাস করছে। কিন্তু জলের মাত্রা যদি না নামে, তার মানে বোতলের মুখে মাটি জমে জলের পথ আটকাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বোতল তুলে নিয়ে তার মুখটা পরিষ্কার করে আবার গুঁজে দিতে হবে টবের মাটিতে।

অথবা বোতলের গায়ে দু’-চারটে ফুটো করে, বোতলে জল ভরে নিন। এবং পুরো বোতলটাই মাটির মধ্যে পুঁতে দিন।

বোতলে জল ভরে আর অল্প মাটি দিয়ে তার মধ্যেও গাছ বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সব গাছ কিন্তু এই পদ্ধতিতে বাঁচে না।

আরও পড়ুন: পুজোর মরসুমে সুস্থ থেকে আনন্দ করুন এইসব উপায়ে​

রশির বাঁধনে: একটা বড় গামলায় জল ভরে নিতে হবে। এ বার যে গাছগুলোতে জল দিতে চান সেই গাছের টব এনে গামলার চারপাশে রাখুন। কয়েকটা দড়ি নিয়ে তার এক প্রান্ত গামলার জলের নীচ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দিন। দড়ির অন্য প্রান্ত টবের মাটির মধ্যে গুঁজে দিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে দড়িটি টবের নীচ পর্যন্ত চলে যায়। তবেই গাছ ভাল করে জল পাবে। জলভর্তি গামলার মুখ যেন টবের চেয়ে বেশি উচ্চতায় থাকে। এই পুরো পদ্ধতি শুরু করার আগে টবের মাটি জল দিয়ে ভাল করে ভিজিয়ে নিতে হবে। না হলে টবের মাটি প্রথমেই অনেকটা জল শুষে নেবে।

জলভর্তি টাব: একটা বড় গামলা বা বাথটাব থাকলে তার মধ্যে জল ভরে ফেলুন। তার পর সেই জলনিকাশি বন্ধ করে দিতে হবে। সেই জলভর্তি টাবের মধ্যে একে একে সব গাছ বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন, গাছের টবের নীচে যেন জল পাস করার ফুটো থাকে। এই পদ্ধতিতে গাছেরা বেশ কিছু দিন পর্যন্ত জল পাবে এবং ভাল থাকবে।

টুকরো টিপ্‌স

এই ভাবে সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করুন আর গাছসদস্যদের দিকেও বাড়িয়ে দিন বন্ধুত্বের হাত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement