প্রতীকী ছবি।
আমরা অনেক সময়েই ফেশিয়াল ব্লিচের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সামগ্রী ব্যবহার করি। কখনও কখনও সাঁলো বা পার্লারের দ্বারস্থও হই আমরা। কিন্তু জানেন কি এই সব কৃত্রিম দ্রব্য আপনার ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকারক? বাইরের সামগ্রীতে অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি আপনার ত্বকের উপর ভাল রকম কুপ্রভাব ফেলতে পারে। বদলে, বাড়িতে মজুত জিনিস দিয়ে আপনি সহজেই করতে পারেন ফেশিয়াল ব্লিচ, আপনার ত্বকের জন্যও তা ভাল। সামনেই পুজো— জেনে নিন বাড়িতে ফেশিয়াল ব্লিচের কিছু উপায়।
কমলালেবুর খোসা ও দই: কমলালেবু খেলে তার খোসা ফেলে দেবেন না। বরং তা রোদে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে নিন। তার পরে সেই গুঁড়ো পাউডারে দই মেশান। তৈরি মিশ্রণটি মুখে ২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে ওয়েট ওয়াইপস বা ভিজে তুলো দিয়ে তুলে নিন।
টমেটো, শশা ও আলু: টমেটো, শশা ও আলুর জুস বা রস বের করে নিয়ে তা সমান অনুপাতে মেশান। এবার তৈরি মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে মিনিট ১৫ রেখে দিন এবং ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতীকী ছবি
মধু ও লেবুর রস: এক চা-চামচ মধুতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য। তারপর তা জল দিয়ে ধুয়ে দিন।
ওটস, অলিভ অয়েল, দই ও লেবুর রস: ২ চা-চামচ ওটসের সঙ্গে ১চা-চামচ অলিভ অয়েল, দই ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট পরে শুকনো অবস্থাতেই তা মুখ থেকে ঘষে ঘষে তুলুন।
প্রতীকী ছবি
দই: হাতের কাছে আর কিছু না থাকলে শুধু দই মুখে নিয়মিত লাগালেও আপনি অবিশ্বাস্য ফল পাবেন। দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য বেসনও।
চন্দনের গুঁড়ো, দুধ ও অ্যামন্ডের গুঁড়ো: দুধের মধ্যে চন্দন ও অ্যামন্ডের গুঁড়ো পরিমাণ মতো মিশিয়ে নিন ও মিশ্রণটি মুখে লাগান। ২০ মিনিট পরে শুকিয়ে যাওয়ার পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। ত্বক বেশি শুষ্ক মনে হলে ময়েশ্চরাইজার লাগান।