হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতিটি রাশির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং প্রকৃতি রয়েছে। ভাই-বোনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাশিচক্রের প্রভাব খুবই গভীর বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষচর্চার এক জনপ্রিয় অ্যাপের কর্ণধার মাহি কাশ্যপ জানিয়েছেন, রাশিচক্র অনুযায়ী কোন ভাই-বোন জুটি সেরা হতে পারে।
১. মেষ এবং ধনু- মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা উদ্যমী এবং দুঃসাহসিক হয়। অন্যদিকে ধনু রাশির মানুষেরা স্বাধীন এবং উৎসাহী বলে পরিচিত। উভয়ই দুঃসাহসিক এবং উত্তেজনায় পূর্ণ তাদের জীবন। এই জুটি একে অপরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বোঝে এবং একসঙ্গে প্রতিটি ঝুঁকির সঙ্গে মোকাবিলা করে। তারা একে অপরের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে এবং সবসময়ে নতুন ধরনের কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে।
২. বৃষ এবং কন্যা- বৃষ এবং কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা আদর্শ ভাই-বোনের জুটির নিদর্শন তৈরি করতে পারে। বৃষ রাশির মানুষেরা স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য। অন্যদিকে কন্যা রাশির বৈশিষ্ট্য হল, তারা বিশ্লেষণাত্মক এবং সংযমী। এরা একে অপরের সান্নিধ্যে নিরাপদ বোধ করে, প্রতিটি পরিস্থিতিকে সমাধান করতে একে অপরকে সাহায্য করে।
৩. মিথুন এবং তুলা রাশি- মিথুন এবং তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা সৃজনশীলতায় বিশ্বাসী। মিথুন কৌতুকপূর্ণ এবং মিশুকে। তুলা রাশি ভারসাম্য এবং সম্প্রীতি পছন্দ করে। তারা একে অপরের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি বোঝে এবং সামাজিক ও মানসিক চাহিদা পূরণ করে। একে অপরকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। যে কোনও সামাজিক উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে পারে।
৪. কর্কট এবং মীন- কর্কট এবং মীন রাশি আবেগপ্রবণ এবং সংবেদনশীল। কর্কট সুরক্ষা এবং যত্নে বিশ্বাসী, মীন মানসিক ভাবে পাশা থাকা এবং সহানুভূতিতে বিশ্বাস করে। কর্কট এবং মীন উভয়ই একে অপরের মানসিক চাহিদা বোঝে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া এবং স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে সম্পর্ককে মজবুত করে তোলে।
৫. সিংহ এবং মকর- সিংহ এবং মকর একে অপরের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয় এবং সম্মান করে। সিংহরা আত্মবিশ্বাসী, অন্যদিকে মকররা কঠোর পরিশ্রমী এবং নিবেদিতপ্রাণ। এই জুটি একে অপরকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে লক্ষ্যপূরণে এবং সাফল্য অর্জনে সাহায্য করে।
ভাই-বোনের সম্পর্ক প্রতিটি রাশির জন্য আলাদা। তবে প্রতিটি রাশির নিজস্ব বিশেষত্ব এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এই সম্পর্কটিকে বিশেষ ভাবে মজবুত করে তোলে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।