হাতে মাত্র কয়েকটা দিন, তার পরেই শুরু আলোর উৎসব। ইতিমধ্যেই আমাদের সবার কালীপুজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সেজে উঠছে কালীপুজোর মণ্ডপগুলি। তা ছাড়াও বাড়ির বাইরেটাও সেজে উঠছে কত শত আলোর সাজে।
কালীপুজোতেও কোন দিন কী পোশাক পরবেন, সেই নিয়েও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য উৎসবের মতো কালীপুজোতেও একটু আলাদা ফ্যাশন হবে না, তাই কি হয়? কিন্তু কালীপুজোয় পোশাক বেছে নেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
কালীপুজোর রাতে চারিদিকে বাজি ফাটানো হয়। প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানো হয়। যে কোনও সময় এগুলি থেকে পোশাকে আগুন লেগে বড় বিপদের সম্ভবনা থাকে।
শুধুমাত্র একটি ভুল পোশাক নির্বাচন আপনাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেবে। বাজি ফাটানোর সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে এসেই ঘটতে পারে মারাত্মক ঘটনা। তাই কালীপুজোর রাতে কী ধরনের পোশাক পরবেন জেনে নিন।
সিল্ক, শিফন, জর্জেট জাতীয় কোনও পোশাকই এই কালীপুজোর রাতে পড়া উচিত নয়। কারণ এই ধরনের পোশাকে আগুন খুব তাড়াতাড়ি ধরে যায়। অনেকে সিল্কের ভারী কাজ করা কোনও ড্রেস বা শাড়ি পরতে পছন্দ করেন।
কিন্তু এই সময় এইগুলি আপনাকে এড়িয়ে চলতেই হবে। যেহেতু সিন্থেটিক কাপড় আপনার শরীরের সঙ্গে আটকে থাকে তাই আগুন লেগে গেলে বিপদের বেশি সম্ভাবনা। হালকা ফ্যাব্রিকের পোশাক পরতে পারেন।
শুধু পোশাকই নয়, গয়নার দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। বেশি পরিমাণে ভারী গয়না না পড়াই ভাল। আবার অনেকে ট্র্যাডিশনাল ড্রেসের সঙ্গে রঙিন কাচের চুড়ি পরতে ভালবাসেন। কিন্তু এই কাচের চুড়িই আপনার বিপদের কারণ হতে পারে
মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানোর সময় বা বাজি ফাটানোর সময় আগুনের তাপে এই কাচের চুড়িতে ফাটল ধরতে পারে। ফলে আপনার হাতে আঘাত লাগতে পারে। তাই হাত যতদূর সম্ভব ফাঁকা রাখারই চেষ্টা করুন।
সুতির পোশাক পরা উচিত কালীপুজোর সময়ে। এতে ঝুঁকি অনেকটাই কম। বিশেষ করে বাজি ফাটানোর সময় সুতির কুর্তি, অন্যান্য সুতির ট্র্যাডিশনাল ড্রেস বেছে নিন অথবা শাড়ি।
সালোয়ার কামিজ় বা চুড়িদারের সঙ্গে ওড়না নেন অনেকে, এই ওড়না নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা মাথায় রাখতে হবে। কারণ দীপাবলিতে জ্বালানো প্রদীপ ও মোমবাতি থেকে একটু অন্যমনস্ক হলেই আগুন লাগার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই ওড়না ব্যবহার না করাই ভাল।এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।