লক্ষ্মীপুজোও শেষ। আর কয়েকটা মোটে দিন পেরিয়ে বাংলা তথা গোটা দেশ মেতে উঠবে আলোর উৎসবে। আলোর মালায় সেজে ঝলমল করে উঠবে চার দিক। আর তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে বাজি কেনার প্রস্তুতি।
কিন্তু এত আনন্দ-ফুর্তির মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই ভুলে যান পরিবেশের কথা। ভুলে যান দূষিত বাতাসে ক্ষতির শিকার হতে হবে তাঁদেরই।
কেমন হয় যদি পরিবেশের কথা ভেবে এ বছর কালীপুজোর আনন্দ উপভোগ করা যায়!
কালীপুজোর দিন আট থেকে আশি সদলবলে নেমে পড়ে বাজি পোড়াতে। কিন্তু এই বাজি তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক বাতাসে মিশে যায়। তাতে পরিবেশের পাশাপাশি শরীরেরও ক্ষতি হয়।
শুধু তাই নয়। শব্দবাজির আওয়াজ নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মাত্রা ছাড়ালে তা যে শুধু শব্দদূষণই ঘটায়, তা নয়। যাঁদের হৃদরোগের সমস্যা আছে, তাঁদের শরীরের ক্ষতিও হয় মারাত্মক। এমনকি, তাঁদের জীবনহানির আশঙ্কাও থাকে।
পোষ্যদের জন্যও শব্দবাজি খুব ক্ষতিকর।
তাই এ বার বরং কালীপুজোর উদ্যাপন হোক পরিবেশবান্ধব। বাজি পোড়াতে চাইলে বেছে নিন ফুলঝুরি। অথবা ফানুসও ওড়াতে পারেন।
আলোর উৎসবে বাড়ি সেজে উঠুক আলোয়। কিন্তু তা যেন হয় এলইডি আলো। এই আলো শুধু যে বাড়িকে আলোকিত করে তা-ই নয়, বরং বিদ্যুৎ খরচেও সাশ্রয়ী।
বাড়ি সাজাতে পারেন মাটির প্রদীপের নরম আলোয়। তার উপর রং অথবা নকশা এঁকে করে তুলুন আরও সুন্দর।
দীপাবলির সময়ে বাজারে হরেক রং ও ডিজাইনের প্রদীপ কিনতে পাওয়া যায়। কিনতে পারেন সে সবও।
রঙ্গোলি করার সময়ে বিভিন্ন রঙিন ফুলের পাপড়ি অথবা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। আপনার বানানো রঙ্গোলি দেখতেও যেমন সুন্দর লাগবে, ঠিক তেমনই বাকিদের চেয়ে আলাদা হয়ে উঠবে।
শুধু প্রদীপ অথবা রঙ্গোলি কেন? গৃহসজ্জাতেও আনতে পারেন উদ্ভাবনী ভাবনা।
কাগজ, গ্লাস অথবা পুরনো কাপড় ফেলে দেওয়ার বদলে পুনর্ব্যবহার করে বাড়ি সাজাতে পারেন।
কেনা খাবারের বদলে নিজে হাতে মিষ্টি বানিয়ে অতিথিদের পরিবেশন করুন। তার আনন্দই আলাদা!
সপরিবারে নেমে পড়ুন ঘরোয়া মিষ্টি বানাতে। এতে তার গুণগত মানও যেমন ঠিক থাকে, ঠিক তেমনই পরিবারের সঙ্গে কিছু ভাল মুহূর্তও কাটে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।