একের মধ্যে অনেক। রাজস্থানের এই মন্দিরে এটাই গণপতির বৈশিষ্ট্য।
মূর্তি একটিই। তার মধ্যেই ২১টি মূর্তি রয়েছে। সে কারণেই বিকানেরের এই মন্দিরের নাম হয়ে গিয়েছে ইক্কিসিয়া গণেশজির মন্দির। পুজোর ছুটিতে অন্য রকম কোনও মন্দির দর্শনের কথা ভাবছিলেন? তবে ঢুঁ মারতেই পারেন এখানে।
ভক্তদের বিশ্বাস, অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে দেখলে তবেই ধরা দেন ইক্কিসিয়া গণেশজি। তাঁকে ঘিরে তাই ২১ দিনে ২১ বার পরিক্রমার রীতি। ভক্তরা বলেন, এই একটানা ২১ দিনের পরিক্রমায় নানা বাধা আসে। যাঁরা সমস্ত বাধা অতিক্রম করে পরিক্রমা সম্পূর্ণ করতে পারেন, তাঁদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। প্রতি বুধবার গণেশ পুজো করতে মেলার মতো ভিড় জমে এলাকাজুড়ে। মন্দিরে গণেশ চতুর্থী পালন হয় ধুমধাম করে।
স্থানীয় ইতিহাস বলে, প্রায় আড়াইশো বছর আগে পন্ডিত কস্তুরচাঁদ কিরাডু এবং তাঁর পুত্র পণ্ডিত গণপতি কিরাডুর আমলে এই মন্দির নির্মিত হয়। পাথরের চতুর্ভুজ গণেশ ত্রিনেত্রধারী। ললাটে চন্দ্রদেব বিরাজমান। কোলে ঋদ্ধি এবং সিদ্ধি।
এই মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তিও। শোনা যায়, পুষ্যা নক্ষত্রের নির্দিষ্ট সময় অনুসারে এই মূর্তি তৈরি হয়েছিল। তন্ত্র মতে মূর্তি নির্মাণের কারণে সময় লেগেছিল আট বছর। প্রতি বছর পুষ্যা নক্ষত্রের নির্দিষ্ট সময়কালে ধীরে ধীরে তৈরি হত মূর্তি। অসমাপ্ত অবস্থায় আবার রেখে দেওয়া হত একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। অপেক্ষা থাকত পুষ্যা নক্ষত্র পুনর্উদয়ের সময়ের জন্য।
কী ভাবে যাবেন: ট্রেনে হাওড়া থেকে বিকানের। স্টেশন থেকে এক্কাসিয়া গণেশ মন্দির সড়কপথে ১০ মিনিট। কাছের বিমানবন্দর জয়পুর।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।