প্রতীকী চিত্র
এ দেশের অনেক রাজ্যের মতো তেলেঙ্গানাতেও ধুমধাম করে গণেশ পুজো হয়। তার মধ্যে হায়দরাবাদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বারোয়ারি গণেশ পুজো হয়। যার ভেতর আবার বালাপুরের বারোয়ারি গণেশ পুজো সব থেকে বেশি জনপ্রিয়।
ওই বারোয়ারি পুজোর সংগঠকেরা তাঁদের মন্ডপের গণেশ বিগ্রহকে প্রসাদ হিসেবে নিবেদন করা একটি বিশেষ লাড্ডুর নিলামের রীতি চালু করেছেন, সেই ১৯৯৪ সাল থেকে। এই লাড্ডু সাধারণ লাড্ডুর চেয়ে অনেকটাই বড় হয়। যার ওজন করে ২১ কেজি পর্যন্তও হয়েছে কোনও কোনও বার, বালাপুরের বারোয়ারি গণেশ পুজোয়। এবং গণেশ ঠাকুরের প্রসাদী সেই বিশাল লাড্ডু কে বাড়ি নিয়ে যাবে, তাই নিয়ে তাঁর ভক্তদের মধ্যে শুরু হয় নিলাম। সে রকমই একটি লাড্ডু নিলামে একবার বিক্রি হয়েছে সাড়ে ২৪ লাখ টাকায়!
গণেশের প্রিয় খাবার মোদক এবং লাড্ডু। তাই গণেশ পুজোয় এই দুটি মিষ্টান্ন তাঁর প্রসাদ হিসেবে অতি অবশ্যই থাকে। বালাপুরের বারোয়ারি গণেশ পুজোয় বিশাল ওজনের একটি বিশেষ লাড্ডু প্রসাদ নিবেদন করা হয় বিগ্রহকে। তার পর সাধারণত গণেশ পুজোর বিসর্জনের দিন সেই প্রসাদী বিশেষ লাড্ডুর নিলাম হয়। এটাই গত প্রায় তিরিশ বছর ধরে একটা অভিনব নিয়ম হিসেবে চলে আসছে বালাপুরের গণেশ পুজোয়।
নিলামে লাড্ডুর দাম চড়তে থাকে। একটি মাত্র লাড্ডুর দাম নিলামের হাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সাধারণত কোনও ব্যবসায়ীই কেনেন। সাড়ে ২৪ লাখ টাকায় গণেশের প্রসাদী একটিমাত্র লাড্ডুও কিনেছিলেন একজন ব্যবসায়ীই। ঘটনা চক্রে তিনি আবার বালাপুরের বারোয়ারি গণেশ পুজোরই একজন কর্মকর্তা! ঘটনাটা মোটেই বেশি পুরনোও নয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেরই।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।