নামেই ভাই-বোনের উৎসব। ভাইফোঁটার দিন কিন্তু গোটা পরিবারই সব ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে রেখে মেতে ওঠে আনন্দে।
ভাইয়ের পাতে সাজিয়ে দেওয়া হয় রকমারি সুস্বাদু পদ। অনেকে বাড়িতেই রেঁধে নেন পছন্দের খাবারদাবার। আবার বাইরেও ভাল কোনও রেস্তরাঁয় সপরিবারে জমাটি ভোজে সুন্দর একটা সময় কাটানো যায়। রইল তেমন কিছু বাঙালি রেস্তরাঁর হদিশ।
৬ বালিগঞ্জ প্লেস: সেরা বাঙালি রেস্তরাঁগুলির তালিকায় এর নাম আসবে না, তা হতেই পারে না!
ঠাকুর বাড়ির ঐতিহ্যবাহী রেসিপি-সহ এখানকার আরও অনেক সুস্বাদু পদ মন জয় করবেই, যার মধ্যে অন্যতম ডাব চিংড়ি। ঠিকানা: ৬, ডাঃ অমিয় বসু সরণি রোড, বালিগঞ্জ প্লেস। পাঠভবন স্কুলের পাশে।
ওহ! ক্যালকাটা: অসাধারণ সব বাঙালি রেসিপি যেগুলি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ছোট বড় সকলকে মুগ্ধ করে এসেছে, তা খেতে চাইলে যেতেই হবে এখানে।
চেখে দেখুন জিভে জল আনা স্মোকড ইলিশ, ভেটকি মাছের পাতুরি, চিংড়ি মালাইকারি, কাঁচালঙ্কা মুরগি। ঠিকানা: ৪, ফোরাম মল, ১০/৩, এলগিন রোড, ভবানীপুর।
সপ্তপদী: উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেন অভিনীত ১৯৬১ সালের সেরা বাংলা ছবি ‘সপ্তপদী’। তারই নামে এই রেস্তোরাঁর নাম। এর অন্দরসজ্জা ওই চলচ্চিত্রেরই বিভিন্ন ছবি দিয়ে।
বাংলা সিনেমার রোমান্টিক গান শুনতে শুনতে সপ্তপদী অভিনব মুরগি ও সপ্তপদী অভিনব মাংস খাওয়ার অভিজ্ঞতাই আলাদা! ঠিকানা: ৪৮, মহানির্বাণ রোড, ডোভার টেরেস, বালিগঞ্জ।
আহেলী: পিয়ারলেস হোটেলের ‘আহেলী’ কলকাতার প্রথম বাঙালি খাবারের রেস্তরাঁ, যা ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এখানে অন্যান্য বাঙালি খাবার তো বটেই, জমিদার বাড়ির হারিয়ে যাওয়া পদও পরিবেশন করা হয়। ঠিকানা: পিয়ারলেস হোটেলের এক তলা, ১২, জওহরলাল নেহরু রোড।
কস্তুরী: খাঁটি ঢাকাইয়া স্বাদে বাংলাদেশি খাবারের জন্য যেতেই হবে এই রেস্তরাঁয়।
এবং এখানে গেলে অবশ্যই খেয়ে দেখুন কচুপাতা চিংড়ি ভাপা। ঠিকানা: ৭এ, মারকুইস স্ট্রিট, ধর্মতলা, তালতলা।
ভজহরি মান্না: বাঙালি খাবারের রেস্তরাঁর নাম ভাবতে গেলে প্রথমে মনে পড়ে ‘ভজহরি মান্না’র কথা।
মান্না দের বিখ্যাত গান ‘আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না’র অনুকরণেই এই নাম। এদের হিন্দুস্থান রোডের আউটলেটটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ঠিকানা: ১৮/১এ, হিন্দুস্থান রোড, ডোভার টেরেস।
কষে কষা: কষা মাংসের সঠিক রেসিপি পরিবেশনের লক্ষ্যেই ২০০৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই রেস্তরাঁ। প্রথমে বাসন্তী পোলাও এবং কষা মাংস তৈরি হলেও পরবর্তীকালে অন্যান্য পদও ঢুকে পড়েছে মেনুতে।
কষা মাংস ছাড়াও এখানে চিংড়ি মালাই বিরিয়ানি, ভেটকি পাতুরি এবং মোচা চিংড়ি চেখে দেখতে পারেন। ঠিকানা: ১/১সি, রিপন স্ট্রিট, মুজফ্ফর আহমেদ স্ট্রিট, ধর্মতলা। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।