রাঁধতে রাঁধতে ঘেমেনেয়ে একাক্কার! এ দিকে স্বাদও যে কিছুতেই খুলছে না! অতঃপর? কুছ পরোয়া নেই। ভরসা রাখুন সহজ কিছু টোটকায়। তারপর দেখুন না কেমন সবাই চেটেপুটে খায় আপনার রান্না!
১. কিছু পেঁয়াজ অল্প করে ভেজে তাতে রসুন, কাঁচা লঙ্কা, অল্প জিরে গুঁড়ো ও সামান্য কাঁচা তেল দিয়ে বেটে একটা পেস্ট করে হাতের কাছে রেখে দিন সব সময়ে। রান্নার পরে যে খাবারে সঠিক স্বাদ হবে না, তাতে ওই পেস্ট মাপ মতো মিশিয়ে আর এক বার গরম করুন। দেখবেন স্বাদ পুরো পাল্টে গিয়েছে।
২. কাবাব বেশি পুড়ে যেতেই পারে। টক দই, চিনি, সামান্য নুন, চাট মশলা, ধনেপাতা ও পুদিনা পাতা কুচি ও অল্প সর্ষের তেল একসঙ্গে ফেটিয়ে স্পেশাল রায়তা আগেই তৈরি করে রেখে দিন। কাবাব যদি পুড়েও যায়, তা ওই স্পেশ্যাল রায়তা দিয়ে সুস্বাদু লাগবে।
৩. আলুর চপ-পরোটা বেশি কড়া ভাজা হয়ে গেলে উপরে সঙ্গে সঙ্গে চাট মশলা ছড়িয়ে দিন। পোড়া গন্ধ টেরই পাবেন না খাওয়ার স্ময়ে।
৪. পোলাও বা ফ্রায়েড রাইস জল-জল হয়ে গিয়েছে? ফুল স্পিডে পাখা চালিয়ে তার নীচে শুকোতে দিন। খুব ঠান্ডা হতে দিতে হবে। তা হলেই বেশ কিছুটা ঝরঝরে হয়ে উঠবে। এর পরে অল্প আঁচে কড়ায় আবার একটু ভেজে নিন ওই পোলাও বা ফ্রায়েড রাইস। একদম ঝরঝরে হয়ে যাবে।
৫. রান্নায় বেশি নুুন পড়ে গিয়েছে। হয় তাতে অল্প জল সামান্য গরম করে ভাল করে মিশিয়ে দিন। অথবা, রান্নায় পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে ৩০ সেকেন্ড মতো গরম করে নিন। দেখবেন, স্বাদে বেশি নুন আর লাগছে না।
৬. লুচি ফুলকো করতে যখন ময়দা মাখার সময়ে আঙুলের এক চিমটে অথবা চায়ের চামচের হাফ চামচ খাবার সোডা তাতে মিশিয়ে নিন। এ বার ময়দা খুব ভাল করে মেখে লুচি করলে সেগুলো ফুলকো হবে।
৭. রুটি ফুলো ফুলো করতে আটায় পরিমাণ মতো জল দিয়ে সাধারণের তুলনায় একটু বেশি সময় ধরে খুব চাপ দিয়ে দিয়ে মাখতে হবে। যত ভাল করে আটা মাখা হবে, রুটি তত ফুলবে।
৮. ভাত শক্ত হলে সেই আধসেদ্ধ ভাতের হাঁড়িতে পরিমাণ মতো আরও জল অল্প গরম করে মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট ফোটান। শক্ত ভাব চলে গিয়ে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। তবে ভাত গলে গেলে সত্যি বলতে আর কিছু করার নেই। বড়জোর গলা ভাত উনুনে আরও কিছু ক্ষণ গরম করলে ভাতের জল জল ভাব কিছুটা কমে যায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তলার দিকটা যেন আবার পুড়ে না যায়!
৯. মাংসে ভাল স্বাদ আনতে রান্নার সময়ে যে পরিমাণ গরম মশলা দিয়েছিলেন, নামানোর ঠিক আগে প্রায় ততটাই গরম মশলা আবার ভাল করে মিশিয়ে, ৩০ সেকেন্ড ফুটিয়ে নিন। দেখবেন মাংসের স্বাদ দ্বিগুণ ভাল লাগছে।
১০. রান্না করার সময়ে মাছে আঁশটে গন্ধ? চায়ের কাপের এক কাপ জলে এক চা চামচ ভিনিগার মিশিয়ে ভাল করে গুলে নিন। সেই ভিনিগার-জল মাছের কড়াইয়ে দিয়ে দিন। রান্নার পর দেখবেন মাছে আঁশটে গন্ধ নেই। অথবা, পাতিলেবুর রস এক চা চামচ মাছের কড়াইয়ে মিশিয়ে দিন। এতেও মাছের আঁশটে গন্ধ চলে যাবে।
১১. দুধ ছানা কেটে গেলে তাতে পরিমাণ মতো ল্যাকটিক অ্যাসিড পাউডার অর্থাৎ ছানা কাটানোর পাউডার মিশিয়ে আরও ভাল করে ছানা করে নিন। এর পরে সেই ছানা পিস্ করে কেটে ডালনা রান্না করতে পারেন। অথবা, ছানায় পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে শুকনো কড়াইয়ে ভাল করে গরম করুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাতে লাল রং ধরছে। তার পরে গ্যাস থেকে নামিয়ে সেই ছানা পিস্ করে কাটুন। বাড়িতেই সন্দেশ রেডি! এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।