চিংড়ির ধোকা
পুজো মানেই দল জমিয়ে পেটপুজো। আড্ডা, ঠাকুর দেখা, ঘোরাঘুরির পাশাপাশি জমাটি ভূরিভোজ না হলে আনন্দটা যেন পুরোপুরি হয় না। উৎসবের দিনগুলোয় বাড়িতে নিত্যনতুন পদ রান্না করে প্রিয়জনদের চমকে দিতে চান অনেকেই। এ বার পুজোয় তা হলে বরং রেঁধে ফেলুন চিংড়ির ধোকা। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। প্রেমের ফাঁদ কিংবা ডালবাটা থেকে ঢের দূরে, চিংড়ির ধোকা বাঙালির হারিয়ে যাওয়া একটি পদ। এ বার পুজোয় পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুদের তাক লাগিয়ে দিন প্রাচীন বাঙালি এই রেসিপিতে।
উপকরণ-
চিংড়ি মাছ - ১ কাপ, ছোলার ডাল - ৩ কাপ, নারকেল কোরা- ১/২ কাপ, নারকেলের দুধ- ১ কাপ, কাজু বাটা- ২ চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ২ টো মাঝারি সাইজের, আদা রসুন বাটা- আড়াই চামচ, গোটা গরম মশলা- পরিমাণ মতো, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা- পরিমাণ মতো, গোটা জিরে- এক চামচ, হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো- ১/২ চামচ, ধনে গুঁড়ো- ১ চামচ, জিরে গুঁড়ো- ১ চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো- ১ চা চামচ, টোম্যাটো পেস্ট- ১টি মাঝারি সাইজের টোম্যাটোর, গরম মশলা- ১/২ চা চামচ, ঘি- পরিমাণ মতো, তেল- পরিমাণ মতো।
প্রণালী-
চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ছাড়িয়ে বেটে রাখুন। এর পরে ছোলার ডাল কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে এক চামচ পেঁয়াজ বাটা এবং অর্ধেক চামচ আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষতে থাকুন। এ বার চিংড়ি বাটা, সামান্য নুন এবং নারকেল কোরা একটি বাটিতে নিয়ে একসঙ্গে মেখে ফেলুন। কড়াইতে পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে দিয়ে দিন চিংড়ি বাটার এই মিশ্রণ। ভাল করে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ কষানো হয়ে গেলে ডালবাটা দিয়ে ফের ভাল করে মেশাতে থাকুন। সমস্ত উপকরণ মিশে জমাট বেঁধে গেলে একটি থালায় সর্ষের তেল মাখিয়ে তাতে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। খুন্তি দিয়ে পুরোটা ছড়িয়ে দিন থালায়। তার পরে বরফির আকারে ধোকা কেটে ফেলুন। কিছুক্ষণ খোলা হাওয়ায় রেখে দিয়ে ধোকা বাদামি করে ভেজে তুলে নিন।
গ্রেভি বানানোর প্রণালী-
একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিন। ফোড়নের গন্ধ বেরোলে তাতে মেশান পেঁয়াজ বাটা। পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে এ বার দিন আদা-রসুন বাটা। কষাতে থাকুন ভাল করে। এর পরে টোম্যাটো বাটা মিশিয়ে ফের কষাতে থাকুন। একে একে দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, নুন এবং সামান্য চিনি। সবটা মেশাতে থাকুন ভাল করে। মশলা যাতে পুড়ে না যায়, তার জন্য সামান্য জল মিশিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে দিয়ে দিন কাজু বাটা এবং নারকেলের দুধ। এর পরে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভাল করে ফোটান। তেল আলাদা হয়ে গেলে এতে একে একে চিংড়ির ধোকাগুলি দিয়ে দিন। সবশেষে উপরে ছড়িয়ে দিন ঘি এবং গরম মশলার গুঁড়ো। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।