কাকভোরে উঠে রোজ সকালের প্রথম চিন্তা জলখাবারটা কী হবে। বাড়িতে কেউ পছন্দ করেন বেশ জমাটি লুচি-তরকারি, আবার কেউ ভক্ত স্যান্ডুইচের। তাই সকালে উঠে কী করবেন, কী খাবেন তা নিয়ে অযথা ভাবনা না বাড়িয়ে এই প্রতিবেদনে নজর ফেলুন। রইল বড়সড় একটি তালিকা। শুধুই জলখাবারের।
যারা ময়দার লুচি বা পরোটা খেতে পছন্দ করেন, সকালে উঠেই বানিয়ে নিন লুচি আর সঙ্গে থাকুক আলুর নামমাত্র তেলে রাঁধা, হলুদ ছাড়া ও কালো জিরে দেওয়া আলুর তরকারি। বাঙালি ভোজনরসিকদের মধ্যে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় এই খাবার।
পরোটা খেতে যারা ভালবাসেন, তাঁরা রোজকার এক ঘেয়ে পরোটা আর আলুর দমের বদলে খুব সহজেই আলুর পুর ভরে বানিয়ে নিন আলুর পরোটা। আলুর পরোটার সুবিধা হল, এটি খেতে আলাদা করে তরকারি বানানোর কোনও ঝামেলা নেই। শুধুই আচার দিয়েই দারুণ লাগে।
স্যান্ডউইচ বলতে অনেকেই বোঝেন কেবল জ্যাম আর মাখন দিয়ে পাউরুটি খাওয়া। স্বাভাবিকভাবেই রোজ রোজ এমন খেলে অরুচি এসে যায়। তাই স্যান্ডউইচ বানানোয় নতুনত্ব আনুন। নিরামিষ বা আমিষ নানা উপকরণ দিয়েই স্যান্ডউইচ বানাতে পারেন। যেমন, নিরামিষ স্যান্ডউইচ বানাতে শশা-টমেটো-সিদ্ধ আলু ও অল্প মেয়োনিজ দিয়ে সুস্বাদু জলখাবার তৈরি করা যায়।
যাঁদের পছন্দ আমিষ স্যান্ডউইচ, তাঁরা নিরামিষ স্যান্ডউইচ তৈরি করে ভেতরের পুরে হালকা তেলে ভাজা মাংস ছোট ছোট টুকরো করে দিয়ে দিতে পারেন। সকাল সকাল এমন জলখাবার পাতে পেলেই হবে দিল খুশ! আবার সসেজও টুকরো করে দিয়ে নিতে পারেন স্যান্ডউইচের ভিতর।
অনেকেই এখন পাস্তা জলখাবারে খেতে পছন্দ করেন। পাস্তার সুবিধা হল আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী আপনি হালকা বা কষিয়ে বানাতে পারেন এই ধরনের কোনও পদ। আগের দিন রাতে সে ক্ষেত্রে পাস্তা সেদ্ধ করে রেখে দিন। সকালে উঠে পছন্দ মতো খুব সহজেই নানা রকমের সবজি, চিজ, ছোট টুকরো করা মাংস আর গোল মরিচ ছড়িয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই পদ।
পাস্তার মতোই চাউমিনও অনেক ভাবে খাওয়া যেতে পারে। সাধারণত সকাল-সকাল জলখাবারে কেউ খুব কষিয়ে রাঁধা কোনও খাবার খেতে চান না। তাই আগের দিন চাউমিন সেদ্ধ করে রাখলে অল্প তেলে ছোট টুকরো করে কাটা সবজি ও মাংস দিয়ে বানিয়ে নিন ঘরোয়া চাউমিন। এতে তেল বা মশলার পরিমাণ আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ফ্রেঞ্চ টোস্ট কী আদৌ ফরাসি খানা? সকালে উঠে এই সব উদ্ভট কথা ভাবতে ভাবতে, দুটি ডিম আর তাতে কাঁচালঙ্কা ও পেঁয়াজ দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তাঁর পর তাতে গোটা চারেক পাউরুটি ডুবিয়ে তুলে তেলে ভেজে নিন। ব্যস, ভাবনা চিন্তার আগেই আপনার রান্নাঘরে গরম গরম ফ্রেঞ্চ টোস্ট বা ডিম পাউরুটি তৈরি।
সারাদিন বাড়িতে মায়ের অক্লান্ত বকুনি, তা’ও সবজি বা ফলটল খাওয়াই হয় না! সকালের জলখাবারেই রাখুন এক বাটি নানা রকমের ফলের স্যালাড, এক সঙ্গে অনেক রকমের ফল খাওয়াও হবে, আবার একঘেয়েমিও লাগবে না। আর সঙ্গে থাকুক মাখন লাগানো পাউরুটি ও অমলেট। ব্যস, খাসা জলখাবার!
ধোসা বানানো জন্য আপনি আগের দিন রাতেই সব উপকরণের ব্যবস্থা করে রাখুন। যাতে সকালে উঠেই দেখতে পান ফুলে-ফেঁপে ওঠা ব্যাটার, আর অল্প তেলে ভেজে তুলতে পারেন ধোসা। ধোসার রকমারি প্রকারভেদ হয়, কেউ শুধু শুধুই ধোসা খেতে পছন্দ করেন, কারও বা পছন্দ আলুর পুর দেওয়া সুন্দর সাদা ধোসা। আর সঙ্গে যদি থাকে সম্বর ডাল, তাহলে তো কথাই নেই।
চিঁড়ের পোলাও বানাতে একটু ভাবনা চিন্তা করে দেখে নিন সব উপকরণ আছে কিনা। খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন এই পদ। এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।