Kumis milk from Kazakhstan

পুজোর সকালে পেটপুজোর সঙ্গে সঙ্গে এক পাত্তর হবে নাকি? দুধ নয়, দুগ্ধ মদিরা কুমিস

বচ্ছরকার সময়। এই সময়ে একটু নিয়মের এদিক ওদিক হতেই পারে। কী বলেন? এই সময়ে একটু বেহিসাবি না হলে কি হয়? তাই এই সময়ে সামান্য মদ্যপান চলতেই পারে। কী বলেন? কিন্তু তাতে যেন পুষ্টিগুণ বাদ না পড়ে যায়। আচ্ছা, যদি এমন হয়, পান করছেন মদ, কিন্তু পুষ্টি পাচ্ছেন দুধের মতো— তা হলে কেমন হবে?

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫৩
Share:
০১ ০৬

পুজোটা আরও মজাদার হয়ে যাবে কি না? এমন পানীয় সত্যিই আছে। যাতে মদের মাদকতা আছে, আবার আছে দুধের পুষ্টিও। এর নাম কুমিস। এই পানীয়ের জন্ম কাজাখস্তানে। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে বর্তমান কাজাখস্তানের ভূমিতে বাস ছিল বটাই বলে এক সম্প্রদায়ের। তাদের হাতেই তৈরি এই পানীয়।

০২ ০৬

সেই সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন পশুপালক। মূলত ঘোড়াই থাকত তাঁদের সঙ্গে। ঘোড়ার দুধের ফারমেনটেশন ঘটিয়ে এই পানীয় তৈরি করতেন তাঁরা। যেহেতু তাঁরা ছিলেন পশুপালক, ফলে বহু দিন পথে পথে ঘুরে কাটাতে হত তাঁদের। এই সময়ে চামড়ার থলিতে ফলে কুমিস নিয়ে যেতেন তাঁরা।

Advertisement
০৩ ০৬

এটি দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করা যেত। সাধারণ দুধ হলে, তা সম্ভব হত না। চেংগিস খান, অ্যাটিলার ইতিহাস ঘাঁটলেও, তাঁদের দলবলের মধ্যে কুমিস পানের চল ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীকালে এটি সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়ে।

০৪ ০৬

এখনও এশিয়ার এই সব দেশে বোতলবন্দি কুমিস বিক্রি হয়। আপাত ভাবে এটি দেখতে দুধের মতোই। তবে স্বাদ অনেকটাই আলাদা।

০৫ ০৬

দুধের পুরোপুরি সমতুল্য না হলেও পুষ্টিগুণে এটি খুব পিছিয়েও থাকবে না। পাশাপাশি যাঁদের ল্যাকটোজ় নিয়ে সমস্যা আছে, তাঁরাও এটি পান করতে পারেন।

০৬ ০৬

তবে বলাই বাহুল্য, এটি রোজ পান করা যায় না। তেমনই দেখুন, দুর্গাপুজোও তো রোজ আসে না। বছরের এই সময়টাই যদি একদিন চেখে দেখতে পারেন কুমিস, অসুবিধা কোথায়। এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement