কলকাতা মানেই চায়ের আড্ডা। পুজোর আমেজ মেখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাঁড়ে ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক — মজাই আলাদা! তবে সঙ্গে চা টাও তো ভাল হতে হবে! এই প্রতিবেদনে রইল কলকাতার কিছু বিখ্যাত চায়ের দোকানের হদিশ।
অরুণ টি স্টল: কেশরি চা পছন্দ করেন? তা হলে এই দোকানে এক বার যেতেই পারেন। কম দামে কলকাতার অন্যতম সেরা কেশরি চায়ের ঠিকানা। সঙ্গে খেতে পারেন খাস্তা কচুরি ও তরকারি।
ডলি’স - দ্য টি শপ: ভারতের প্রথম চা পরীক্ষক ডলি রায়ের হাতে তৈরি এই দোকান। এখানে পাবেন দার্জিলিং, অসম, উত্তরাঞ্চল ও নীলগিরি থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের চা। এ ছাড়াও মিলবে নানা স্বাদের আইস টি।
দ্য বক্স: এই দোকানে পেয়ে যেতে পারেন আপনার মনের মতো সাইজের ভাঁড়ে চা। গরমাগরম চায়ে চুমুক। আর ঘাসের উপর বসে বন্ধুদের সঙ্গে জমজমাট আড্ডা! আর কী চাই?
রাসেল পঞ্জাবি ধাবা: এই দোকানের মশলা চা সারা কলকাতায় বিখ্যাত। এ ছাড়াও খেয়ে দেখতে পারেন এদের স্পেশাল কফি।
শ্যামল’স টি স্টল: দিনভরের ব্যস্ততা পেরিয়ে যাদবপুরে শ্যামলদার দোকানের এক কাপ চা কিন্তু কামাল করে দিতে পারে। পুজোয় ঠাকুর দেখতে দেখতে এক বার ঘুরে আসতেই পারেন এই দোকান থেকে।
তৃপ্তি টি স্টল: রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনের ৬ নং গেট দিয়ে বেরোলেই সামনে দেখতে পাবেন এই দোকান। এখানে আপনি পাবেন চকোলেট চা, মালাই চা, তুলসি চা, কেশর চায়ের মতো বিভিন্ন স্বাদের চা।
ইউলি টি লঞ্জ: সবুজে ঘেরা পরিবেশে চা খাওয়ার কিন্তু মজাই আলাদা। আপনিও যদি সেই আনন্দ উপভোগ করতে চান তা হলে যেতে হবে ইউলি টি লঞ্জে। এখানে গেলে অবশ্যই খেয়ে দেখুন রাজগড় স্ট্রবেরি টি ও দার্জিলিং জেসমিন টি।
টি জংশন: সুন্দর পরিবেশ ও স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য অনেকেই এই দোকানটি বেশ পছন্দ করেন। এখানকার মশালা চা ও কেশরি চা বেশ বিখ্যাত। বর্তমানে কলকাতায় এদের মোট ৩১টি দোকান রয়েছে।
চা ও নচিকেতা: দোকানটি নচিকেতার পোস্টার দিয়ে সাজানো। আপনি যদি গায়কের ভক্ত হন, তাহলে এক বার ঘুরে আসতেই পারেন এই দোকান থেকে। মাটির ভাঁড়ে চা, সঙ্গে নচিকেতার গান। জমে যেতে পারে পুজোর মেজাজ।
শর্মা টি: এই দোকানটি বালিগঞ্জে চা প্রেমীদের পছন্দের ঠিকানা। সারা রাত ঠাকুর দেখে ফেরার সময় হোক, বা সারা দিন ঘোরাঘুরি করে ক্লান্তি কাটানো। এদের দোকানের এক কাপ চায়েই আপনি চাঙ্গা!