কথায় আছে ‘জীবনটা হল এক কাপ চায়ের মতো। যেমন আপনি বানাবেন, তেমনই হবে তার স্বাদ”। এ না হয় কথার কথা। কিন্তু যদি আপনার চায়ের কাপেও থাকে রঙের ছোঁয়া? এই প্রতিবেদনে রইল এমনই কিছু রংবেরঙের চায়ের হদিস।
গ্রিন টি: আজকাল অনেকেই দুধ চা বা লিকার চায়ের জায়গায় গ্রিন টি খেতে পছন্দ করেন। এই চা শরীরের জন্যও বেশ উপযোগী।
উলং টি: গ্রিন টি-র মতো এই চায়ে আছে নানা ভিটামিন, মিনারেল, ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য খুব উপকারি। এক ইউনিট উলং টি-তে আছে ৩৮ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন।
হোয়াইট টি: ক্যামেলিয়া সিনেসিস গাছের পাতা থেকে এই চা তৈরি হয়। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এই চা হার্টের রুগীদের জন্য এবং ত্বকের যত্নে খুব উপকারি।
ইয়েলো টি: উৎপত্তিস্থল চিন হলেও ধীরে ধীরে এই চা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। চায়ের হলুদ রং কিন্তু স্বাভাবিক নয়। এটি সিলড ইয়েলোইং নামক পদ্ধতির মাধ্যমে আনা হয়। এই চা ডায়াবিটিস রুগীদের জন্য বেশ ভাল, লিভারের জন্যও উপকারি।
হারবাল টি: গাছের ফল, শুকনো ফুল, বীজ, শিকড় ইত্যাদি হারবাল দ্রব্যের মিশ্রণে এই চা প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত উপকরণগুলি গরম জলে কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে, তার সঙ্গে চা পাতা মিশিয়ে এই চা তৈরি হয়। এখন অনেক সংস্থা হারবাল টি ব্যাগ বিক্রি করে থাকে।
ব্লু: টি অপরাজিতা ফুল থেকে তৈরি এই চায়ে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা সুগার, প্রেসার, ক্যানসারের মতো রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
জেসমিন টি: জুঁই ফুলের সুবাস যুক্ত এই চায়ে প্রচুর পরিমাণে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এ ছাড়াও এই চা দাঁত ও মাড়ির জন্য খুবই উপকারি।
কাওয়া টি: এই ধরনের চায়ের জন্ম ভারতের ভুস্বর্গ কাশ্মীরে। এটি আপনাকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এই চায়ে মানসিক চাপ কমানোর ক্ষমতা, হার্টের জন্যও বেশ উপযোগী। তা ছাড়া ত্বকেও আনে উজ্জ্বলতা। পাশাপাশি, ঠান্ডা লাগলেও এই চা বেশ কাজে দেয়।
হিবিস্কাস টি: হিবিস্কাস সাবদারিফা নামক আফ্রিকান গাছ থেকে তৈরি হয় এই চা। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
রুইবোস টি: দক্ষিণ আফ্রিকায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে এই চা মানুষ খেয়ে আসছেন। এই চায়ে আছে বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ইত্যাদি। তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।