Ananda Utsav 2024

একটানা বাইরের খাবারে বদহজম? ওপার বাংলার তিন রেসিপি দিয়েই পেটের যত্ন নিন এই পুজোয়

স্বাস্থ্য সচেতনতার ভাবনা পুজোর কয়েকদিন শিকেয় না তুলেও সুস্বাদু অথচ কম খাটনির কিছু পদ তালিকায় রাখতেই পারেন। যেগুলি এত পরিকল্পনার মাঝেই বাড়িতে রেঁধে খেয়ে দেখতে পারেন। তার মধ্যে একটি নিরামিষ, একটি আমিষ এবং একটি মিষ্টির পদের রেসিপি দেওয়া হল।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২২
Share:

ওপার বাংলার তিন রেসিপি

ষষ্ঠীতে চাইনিজ, সপ্তমীতে কন্টিনেন্টাল, অষ্টমী/নবমীতে বাঙালি, দশমীতে কোরিয়ান। শারদ-ভুরিভোজের সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছে তো? কিন্তু পৈটিক গণ্ডগোল বা বদহজমের পাল্লায় পড়লে তো পুজোর আনন্দটাই মাটি! তার চেয়ে বরং পুজোর প্ল্যান শিকেয় না তুলেও সুস্বাদু অথচ কম খাটনির কিছু পদ তালিকায় রাখতেই পারেন। যেগুলো একইসঙ্গে হবে স্বাস্থ্যকর। রইল ওপার বাংলার তেমনই একটি নিরামিষ, একটি আমিষ এবং একটি মিষ্টির পদের রেসিপি। বাড়িতেই রেঁধে দেখুন না এই জনপ্রিয় পদগুলি।

Advertisement

১. নিরামিষ, শাপলার ডাল:

মটর, ছোলা, অড়হর, খেসারি– বাড়িতে যা যা ডাল আছে,সব অল্প অল্প করে মিশিয়ে প্রেশারে বসান। সিটি পড়ার আগের মুহূর্তে বন্ধ করে দিন। অন্য দিকে ঘরে যা সব্জি আছে, নিয়ে নিন সেগুলোও। সঙ্গে অবশ্যই যোগ করুন শাপলা। শাপলা অনেকেই খেতে অভ্যস্ত নন। কেউ কেউ নাক সিঁটকাতে পারেন। তবে এই রেসিপি মেনে রান্না করলে তাঁরাও হয়তো পছন্দ করতে পারেন। স্বাদে তো বটেই, আয়রনেও সমৃদ্ধ হবেন। কয়েক রকম সবজি এ বার ডালে দিয়ে সেদ্ধ করুন। অল্প সময়ে গরম ডালে সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে শেষে মেশান শাপলা। দেড় মিনিটের মধ্যেই সবটা সেদ্ধ হয়ে যাবে। এ বার পরিমাণমতো নুন, মিষ্টি আর একটু ঘি দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন। গরম ভাতে শাপলার ডাল পেটও ভরাবে, স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেবে।

Advertisement

২. আমিষ, চিতল মুইঠ্যা:

এখন দোকানে চিতল মাছের গাদা কাঁটা ছাড়িয়েই বিক্রি করে। তা কিনে এনে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এ বার খানিকটা সেদ্ধ আলু, নুন, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা বাটা, একটা ডিম ভেঙে মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিন। তা থেকে গোল গোল লেচি করে ফুটন্ত জলে দু'মিনিট ফুটিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে জল থেকে তুলে নিন। সেগুলো বড়ার মতো হালকা ভেজে নিলেই তৈরি মুইঠ্যা। এ বার মশলা কষিয়ে, তাতে টুকরো করে কাটা আলু এবং মুইঠ্যা সেদ্ধ জলটা দিয়ে ঝোল করুন। একটু পরে বড়াগুলো তাতে দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে গরম মশলা দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। খাবার সময়ে দেখবেন, আর কোনও পদ না করলেও চলত।

৩. শেষ পাতের মিষ্টিমুখ:

ঘরে অল্প সেমাই, অল্প চাল গুঁড়ো থাকলেই হবে। একটি পাত্রে দুধ আর চিনি ফুটতে দিন। যখন দেখবেন দুধ অনেকটা কমে এসেছে, সেমাই দিন তাতে। এ বার ঘন করার জন্য অল্প করে চাল গুঁড়ো মেশাতে থাকুন আর নাড়তে থাকুন। তরল থাকতে থাকতেই গ্যাস বন্ধ করুন। এর পরে কাজু, কিশমিশ, ঘি ছড়িয়ে ঠান্ডা হতে দিন। কম গ্যাস খরচে সেমাই, ফিরনি দুয়েরই স্বাদ একই মিষ্টিতে!

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement