উৎসব হোক বা আর পাঁচটা সাধারণ দিন- খাওয়ার পাতে খিচুড়ির বিকল্প নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খিচুড়ি স্বাদে-গন্ধে আলাদা। পুজোর ভোজের স্বাদ বাড়াতে রইল বিভিন্ন রাজ্যের সেরা কিছু খিচুড়ির রেসিপি।
ভোগের খিচুড়ি: ভোগের খিচুুড়ি মানেই পুজো পুজো গন্ধ! নিরামিষ এই খিচুড়ি তৈরি হয় আলু, ফুলকপির মতো সব্জি, মুগডাল, গোবিন্দভোগ চাল, ঘি, আদা, লঙ্কা, টোম্যাটো দিয়ে। আর ফোড়নে গোটা গরম মশলাই হলো এই খিচুড়ির আসল কথা!
ডালিয়ার খিচুড়ি: এই খিচুড়িও মূলত ভোগের খিচুড়ির মতোই। তফাত শুধু একটাই। চালের জায়গায় ডালিয়া ব্যবহার করা হয়। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পদ।
ইলিশের খিচুড়ি: ইলিশ শুনলেই জিভে জল আসে, তাতে আবার খিচুড়ি! বাঙালি মূলত খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজাতেই মজে। তবু ইলিশ খিচুড়ির স্বাদও মন ভাল করা। গোবিন্দ ভোগ চাল, মুসুর ডাল আর ইলিশ মাছ হল এর মূল উপকরণ।
মাংসের খিচুড়ি: মাটন ও চিকেন - মাংসের খিচুড়ি রান্না করা যেতে পারে নিজের পছন্দ মতোই। ভাল করে মাংস কষিয়ে নিয়ে তাতে গোবিন্দভোগ চাল আর মুগডাল দিলেই হয়ে যাবে রান্না। উপরে ঘি দিতে ভুলে গেলে কিন্তু পস্তাতে হবে!
অন্ধ্রের কিমা খিচুড়ি: এই কিমা খিচুড়ি প্রথম তৈরি করেন হায়দরাবাদের নিজামরা। এর স্বাদ অনেকটা বিরিয়ানির মতোই। তবে রান্নার পদ্ধতি ভিন্ন। প্রধান উপকরণ হল চাল, মুসুর ডাল এবং মাংস । পরিবেশন করা হয় 'খাট্টা' দিয়ে, যা কিছুটা সালানের মতো।
কর্নাটকের বিসি বেলে: বিসি বেলে ভাত আদতে একটি বিশেষ ধরনের খিচুড়ি। মুগ ডালের পরিবর্তে তুর ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় এটি । প্রায় ৩০ রকমের মশলা থাকে এতে। এত রকম মশলার মিশ্রণে খিচুড়ি হয়ে ওঠে সুস্বাদু। বিভিন্ন ধরনের সব্জি ও দেশি ঘি দিয়ে এটি পরিবেশন করা হয়।
রাজস্থানি বাজরা খিচুড়ি: রাজস্থানি খিচুড়ি একেবারে অন্য রকম। কারণ এটিতে চাল ব্যবহার করা হয় না। এ রাজ্যে চাল বাড়ন্ত। তাই প্রধান উপাদান হিসাবে জোয়ার বা বাজরা ব্যবহার করা হয়। বাজরার খিচুড়ি সাধারণত দই, রসুনের চাটনি বা আচারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
বিহারী খিচুড়ি: মকর সংক্রান্তি উদযাপনের প্রধান অঙ্গ হিসেবেই জনপ্রিয় বিহারী খিচড়ি। এটি পুজোর প্রসাদ হিসেবেও দেওয়া হয়। চাল, আদা, লঙ্কা , মুগ ডাল, উরাদ ডাল (কালো ছোলা), হিং এবং ঘি দিয়ে তৈরি এই বিহারী খিচুড়ির স্বাদ অনবদ্য। স্থানীয়রা এটি আলু চোখা, বেগুন ভর্তা, পাঁপড় ভাজা ও আচার সহযোগে খেতে পছন্দ করেন।
তামিলনাড়ুর পোঙ্গল: তামিলনাড়ুর এই খিচুড়ি সাধারণত ফসল কাটার মরসুমে বেশি হয়। মুসুর ডাল, চাল এবং প্রচুর খাঁটি ঘি দিয়ে পোঙ্গল তৈরি হয়। এটি ঝাল এবং মিষ্টি, দুই রকমেরই হয়।