খারকোল পাতা বাটা আমার মায়ের ‘স্পেশাল রান্না’।
শুক্তো খুবই শুভ। তাই পুজোর সময়ে ওই একটি রান্না আমাদের বাড়িতে হবেই হবে। ঘটির বাড়ি তো, তাই দুধ আর ঘি দিয়ে শুক্তো রান্না হয়। তা ছাড়া পুজোয় বাইরের খাবার খেয়ে খেয়ে মুখে অরুচি ধরে যায়। তখন মায়ের হাতে সাদা শুক্তো খেয়ে বড়ই তৃপ্তি হয়। আর খারকোল পাতা বাটা আমার মায়ের ‘স্পেশাল রান্না’। ওই পদটি রান্না করলেই গন্ধে ভরে ওঠে বাড়ি।
শুক্তো।
শুক্তো
উপকরণ
৪টি সজনে ডাঁটা
২৫০ গ্রাম দুধ
১ চা চামচ ঘি
১টি আলু
অর্ধেক পেঁপে
২টি উচ্ছে
১টি কাঁচকলা
অর্ধেক বেগুন
১০টি বড়ি
১ চা চামচ পোস্ত বাটা
অর্ধেক চামচ আদা বাটা
প্রণালী
কড়াইয়ে সাদা তেল গরম করে বড়ি এবং উচ্ছেগুলি ভেজে নিতে হবে। হাল্কা ভাজা হয়ে গেলে সেগুলি তুলে সরিয়ে রাখতে হবে। তার পর তাতে রাঁধুনি ফোড়ন দিতে হবে। এর পর বাকি সব্জিগুলি কড়াইয়ে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট নাড়াচাড়া করতে হবে। পরিমাণ মতো নুন দিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে শেষে আদা বাটা, পোস্ত বাটা, দুধ এবং ঘি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।
খারকোল পাতা বাটা।
খারকোল পাতা বাটা
উপকরণ
২ আঁটি খারকোল পাতা
৪ চা চামচ সর্ষে তেল
১ চিমটে কালো জিরে
৫-৬ কোয়া রসুন
৪টি কাঁচা লঙ্কা
প্রণালী
জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে খারকোল পাতাগুলি। জল ঝরিয়ে নিয়ে তার পর বাটতে হবে। জল ঝরানো পাতাগুলি রসুন আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে বেটে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, কড়াইয়ে অল্প সর্ষের তেল গরম করে কালো জিরে ফোড়ন দিতে হবে। তেলে দিয়ে নাড়াচাড়া করার পর ভাজা ভাজা হয়ে আসবে। বদলে যাবে পাতার রং। নুন আর এক চিমটে চিনি ছড়িয়ে দিতে হবে শেষে। তার পর শুকনো ভাতে মেখে খেলে একেবারে অমৃত। খারকোল পাতা বাটা খেলে শরীরের যন্ত্রণা কমে।