পুজোতে সব সাবধানতা মেনে লং ড্রাইভের পরিকল্পনা রয়েছে? শহর ছাড়িয়ে লালমাটির দেশে যাচ্ছেন? তাহলে আপনাকে আসতেই হবে হোটেল অন্নপূর্ণায়। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের একমাত্র তিন তারা এই হোটেলে পুজোর জন্য এলাহি আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেবারে খাঁটি বাঙালি রান্নার আয়োজন করছে কর্তৃপক্ষ।
শহরের নানা ক্যাফে-রেস্তরাঁর সন্ধান তো জানেন। কিন্তু বাঁকু়ড়ার বিষ্ণুপুরে এই হোটেলের খাবার খেলে আর ভুলতে পারবেন না, এমনই বললেন কনসালট্যান্ট শেফ দেবজিৎ মজুমদার। কেউ পছন্দ করেন খাঁটি এশীয় পদ, কারও পছন্দ হালকা কন্টিনেন্টাল। কেউ বা চাইনিজ। কারও পছন্দ তন্দুর। তবে বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু পুজোর সময় খাঁটি বাঙালি রান্না খেতে আগ্রহী। সেই কথা ভেবেই এই হোটেলের মেনু সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লবস্টার থার্মিডোর থেকে ল্যাম্ব চপস, ‘চ্যাপ্টার-২’-এর এলাহি আয়োজনে স্বাগত
পুজো স্পেশাল কলমি শাক দিয়ে মুরগির কাবাব
পুজো স্পেশাল মেনুতে কী থাকছে এখানে?
দই ধনেপাতা মুরগির কাবাব
কলমি শাক দিয়ে মুরগির কাবাব
মেটে চচ্চড়ি
মুরগির ডাকবাংলো
রবিবারের মাংসের ঝোল
কাজু কিশমিশ পোলাও
সর্ষে ইলিশ
স্বাদ ও সাধ্যের যুগলবন্দী হতে পারে এই পুজো স্পেশাল মেনু। তবে এ বারের পুজো খানিকটা অন্যরকম। অতিমারি পরিস্থিতিতে তাই সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করেই রান্না করা হচ্ছে। পরিবেশনও করা হবে সেই ভাবেই। রেস্তরাঁয় প্রবেশের আগেই হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া, থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা মেপে নেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। সব রকম সুরক্ষা মেনে চলা হচ্ছে। কর্মীদের সুরক্ষার দিকও মেনে চলা হচ্ছে। ক্রেতা সুরক্ষার দিকটিও ভাবা হচ্ছে।, পুজোর সময় বাড়িতে রান্না করতে কারই বা ভাল লাগে, তাই সময় পেলে চেখেই দেখুন।
আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর মতো ডেজার্ট বানান বাড়িতেই
থাকছে মেটে চচ্চড়ি
শেফ দেবজিৎ মজুমদার জানালেন, খাঁটি বাঙালি রান্না কিংবা অন্যরকম কিছু খেতে চাইলে এ রেস্তরাঁয় আসতেই হবে। আর ক’দিন পরেই তো ষষ্ঠী। জমে উঠুক পুজোর খানাপিনা।
ছবি সৌজন্য: শেফ দেবজিৎ মজুমদার