আমার খুব প্রিয় এই রেসিপিটা পেয়েছিলাম এ দেশের এক বিখ্যাত মহিলা শেফের বই থেকে, আদতে যিনি কলকাতারই কন্যে। প্রাচ্যের রান্না, অতি সুস্বাদু এই পদটি পরে আমি বহুবার অনেককেই রান্না করে খাইয়েছি।
পদ্ধতি অতি সহজ, ঝটপট রান্নাও করে ফেলা যায় একেবারে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে। নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝছেন ট্যামারিন্ড গ্লেজ়ড্ স্টিমড্ চিকেন বলস্ টকঝাল স্বাদে জিভে জল আনবেই! মেন কোর্সের পদ হিসেবে পরিবেশন করতে পারেন ফ্রায়েড রাইস, নুডলস্ অথবা সাদা ভাতের(চিনা খুদে চালের মাড়-না-গালা ভাত হলে সবচেয়ে ভাল) সঙ্গে। আর যদি স্টার্টার হিসেবে দিতে চান, চিকেনের বলে টুথপিক গুঁজে দিতে ভুলবেন না কিন্তু।
আরও পড়ুন: চারগ্রিলড পমফ্রেট উইদ লেডিস ফিঙ্গার অ্যান্ড বেল পেপারস, এ বার বাড়িতেই
প্রণালী
মুরগির কিমায় দু’টি কুচোনো পেঁয়াজ, ডিম, অল্প গোলমরিচ, তিন চারটি কাঁচালঙ্কা খুব মিহি করে কুচানো, এক চামচ ডার্ক সয়া সস, এক টেবল চামচ লাইট সয়া সস (বা দুই টেবল চামচ ডার্ক সয়া সস দেবেন,পেঁয়াজ পাতার সবুজ অংশ কুচানো, রসুন বাটা ও ময়দা দিয়ে ভালো করে মেখে ঘণ্টাদুয়েক ফ্রিজে ম্যারিনেট করে রাখুন।
তার পরে স্টিমার রেডি করুন। অথবা কড়াইয়ে জল ফুটতে দিয়ে তার উপরে জালি পাত্র বসান।
এ বার দু’হাতে সাদা তেল মাখিয়ে ম্যারিনেট করা চিকেন কিমা ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিন।
চিকেন বলগুলো স্টিমারে অথবা জালি পাত্রে বসিয়ে ঢাকা দিন। ছয় থেকে সাত মিনিটের মধ্যে তা জমাট বেঁধে রং পাল্টে ফেললে নামিয়ে বলগুলিকে তুলে আলাদা রাখুন। এর বেশিক্ষণ সেই বলগুলি ভাপে রাখলে কিন্তু শক্ত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: কেকে’স ফিউশনের প্যান রোস্টেড চিকেন উইদ সতে ভেজিটেবল
এর পরে কড়াইতে সাদা তেল (তিল তেল হলে সবচেয়ে ভাল, অন্যথায় অন্য কোনও তেল) খুব গরম করে প্রথমে রসুন কুচি ও তার পরে বাকি দুটো কুচোনো পেঁয়াজ, বাকি কাঁচালঙ্কা কুচি ও পেঁয়াজ পাতার গোড়ার দিকের সাদা অংশ কুচোনো দিয়ে দেড় থেকে দুই মিনিট নাড়ুন। তাতে এ বার দুই বড় চামচ ডার্ক সয়া সস, তেঁতুলের ক্বাথ ও চিনি দিন। নুন অল্প দেবেন কারণ সয়া সসে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে। মিশ্রণে অল্প জল দিয়ে ফুটিয়ে ঘন করুন। দু’মিনিট বাদে কিমা বলগুলি তার মধ্যে দিয়ে হালকা হাতে নাড়ান, যাতে সবকটি বল সসে মাখানো হয়। আরও দুই মিনিটের মধ্যে নামিয়ে উপরে কুচোনো পেঁয়াজ পাতা ও শুকনো খোলায় ভাজা তিল ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
(রেসিপি কিউরেটর)
গ্রাফিক চিত্র :তিয়াসা দাস