যতই গালভরা বাদশাহী নাম হোক, সাধারণ গৃহস্থ বাড়িতে অসময়ের উপকারী বন্ধু মাছের কোফতা কারি। অনেক সময়েই এমন হয়, বিশেষত এই অতিমারির অসময়ে তো বটেই, যখন হয়তো ফ্রিজে পড়ে আছে চার টুকরো মাছ। অথচ খাওয়ার লোক ছয় কি সাত জন। তখন কী করণীয়, ভেবে পাওয়া যায় না। এমন দিনগুলোতেই চটপট রান্না করে ফেলতে পারেন এই অতি সুস্বাদু পদটি, যা কমও পড়বে না, সবাই ভালোবেসেও খাবে। ছোটবেলায় যৌথ পরিবারে এই পদটি রান্না হতে দেখেছি বহু বার। একাধারে সাশ্রয়ী, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই মাছের কোফতা কারি।
প্রণালী:
চার টুকরো রুই বা কাতলা মাছ অল্প নুন দিয়ে জলে সেদ্ধ করে কাঁটা তেল বাদ দিয়ে বেছে রাখুন। দু’টি আলু ভাল করে সেদ্ধ করে তার সঙ্গে মাখুন। এ বার তার মধ্যে দিন স্বাদ অনুযায়ী নুন, অল্প তেল, দুই বড় চামচ বেসন, দুই বড় চামচ ধনেপাতা কুচি, এক ছোট চামচ আদাবাটা, দেড়খানা ছোট করে কুচানো পেঁয়াজ ও এক বড় চামচ গরম মশলার গুঁড়ো। ভাল করে সবটা মেখে নিয়ে দুই হাত জলে ভিজিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: চারগ্রিলড পমফ্রেট উইদ লেডিস ফিঙ্গার অ্যান্ড বেল পেপারস, এ বার বাড়িতেই
এ বার ওই মিশ্রণ ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিয়ে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। এই পরিমাণ মাখায় প্রায় কুড়ি-বাইশটা কোফতা বল হবে। এ বার কারি-র জন্য ডুমো করে আলু কেটে নুন ও হলুদ দিয়ে ভেজে তুলুন। আবার কড়াই চাপিয়ে তেল গরম করে তেজপাতা, জিরে ও গোটা গরম মশলা (ছোট এলাচ, লবঙ্গ ও দারুচিনি) থেঁতো করে ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে এ বার তাতে আদা বাটা দিয়ে কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এক বড় চামচ হলুদ গুঁড়ো, দেড় বড় চামচ কাশ্মিরী লঙ্কার গুঁড়ো ও এক বড় চামচ জিরে গুঁড়ো জলে গুলে দিয়ে নাড়ুন, যতক্ষণ না তেল ছেড়ে দিচ্ছে। এ বার একটি টোম্যাটো কুচি ও দুই তিন চামচ সাদা দই দিন। টোম্যাটো গলে তেল ভাসা অবধি কষান। ভাজা আলু দিন। এ বার পরিমাণ মতো জল, নুন ও অল্প চিনি দিয়ে ফুটতে দিন। এই পর্যায়ে ঝোল একটু বেশি রাখবেন কারণ পরে কোফতা দিলে ঝোল টেনে নেবে। তেল ভেসে ঝোল ঘন হয়ে সুন্দর রঙ এলে এক চামচ ঘি ও এক চামচ গরম মশলা দিন। সব শেষে সাবধানে কোফতাগুলি ঝোলে দিয়ে হাল্কা হাতে নাড়ুন। দেখবেন যেন সেগুলি ভেঙে না যায়। নামিয়ে ভাত বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন।
(রেসিপি কিউরেটর)
গ্রাফিক চিত্র :তিয়াসা দাস