এসে গেল দশমী। ধুনুচি নাচ থেকে সিঁদুর খেলা, বিসর্জন থেকে নাড়ু - নিমকিতে ডুব দেওয়ার সময়। আর এবার ডাবর ইন্ডিয়া নিয়ে এল আপনার জন্য এক বিশেষ চমক- মিষ্টিই যদি খাবেন, তাহলে আর চিনির মিষ্টি কেন, হোক ডাবর হানির তৈরি খাঁটি বাঙালি মিষ্টিমুখ।
উৎসবের মরসুমে বাঙালির মিষ্টত্বে প্রতি বছর নতুন সংযোজন করে ডাবর হানি। ক্রেতাদের ফিটনেসের কথা মাথায় রেখে এই বছর এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তারা। কলকাতার সেরা কয়েকটি মিষ্টির দোকানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিয়ে এসেছে বাঙালির চিরাচরিত নিজস্ব কিছু মিষ্টি, চিনি দিয়ে নয়, তৈরি ডাবর হানি দিয়ে। এ জন্য পুজোর ফাঁকে তারা হাত মিলিয়েছে ৫০টি মিষ্টির দোকানের সঙ্গে। তৈরি হয়েছে ডাবর হানির তৈরি মিষ্টি, সেগুলির মধ্যে নতুন মিষ্টি যেমন আছে, তেমন আছে পরিচিত সব নাম। চিনির বদলে মধুর উপযোগিতা নিয়ে প্রচার শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যেমন দোকানে দোকানে, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে লিফলেট বিলি করে রোজকার খাবারে মধু সংযোজনের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
মূল উদ্দেশ্য হল, মানুষকে বোঝানো যে বহু বাঙালি খাবারেই চিনির বদলে ঢের বেশি স্বাস্থ্যকর মধু ব্যবহার করা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য- উপভোগ করুন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দুর্গাপুজো, বাদ দিন চিনিকে, নিয়ে আসুন ডাবর হানিকে। আর আজকালকার দিনে সব ভারতীয়ই তো কম বেশি স্বাস্থ্য সচেতন, খাবার থেকে জীবনচর্যা-সবেতে পরিবর্তন এনেছেন তাঁরা।
আর গত কয়েক দশকে ডাবর হানি হয়ে উঠেছে এই ফিটনেসের সমার্থক, ক্রেতাদের বোঝানো হয়েছে, ডাবর হানি হয়ে উঠতে পারে তাঁদের সুস্বাস্থ্যের অন্যতম অংশ- তা সে আপনি সকালে গরম জলে মিশিয়েই খান বা চিনির বদলে ব্যবহার করুন প্রাতরাশ ও অন্যান্য খাবারে। কিংবা কালো চা, লেবু চা, গ্রিন টি, দুধ কর্নফ্লেক্স বা ওটসে মিশিয়ে দিন। অথবা খাঁটি বাঙালি মতে পায়েসই তৈরি করুন না, চিনির বদলে ডাবর হানি আরও বাড়িয়ে তুলবে আপনার মিষ্টান্নের মিষ্টত্ব।
এবারের দুর্গাপুজোয় কলকাতার ৫০টি বিখ্যাত পুজোমণ্ডপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ডাবর হানি। সেখানে ডাবর হানি দিয়ে তৈরি মিষ্টি খেয়ে মানুষজন মুগ্ধ। তাঁরা এই মিষ্টির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। মমতা নামে এক লাইপ স্টাইল ইনফ্লেয়েন্সার কলকাতার একটি পুজোমণ্ডপে ডাবর হানি দিয়ে তৈরি মিষ্টি খেয়ে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, ডাবর হানি দিয়ে এই মিষ্টি তৈরি হয়েছে। চিনির মতোই খেতে লাগছে এই মিষ্টি। কিন্তু এই মিষ্টিতে কোনও ক্ষতিকারক পদার্থ নেই।’