প্রতীকী ছবি।
কিছু কিছু মিষ্টির সঙ্গে বাঙালির একটা অদ্ভুত ছোটবেলার গন্ধ মিশে আছে। হয়তো এমন কিছু স্মৃতি জড়িয়ে থাকে, যা ছেলেবেলার সারল্যের চিহ্ন হয়ে মনে গেঁথে যায়। সে পুজোর সময়ে বাড়িতে মায়ের কাছে বায়না ধরা হোক, বা মাঝ রাতে মায়ের চোখ এড়িয়ে ফ্রিজ থেকে লুকিয়ে চকোলেট খাওয়া হোক— কিছু কিছু মিষ্টির ক্ষেত্রে সকলের ভিতরের শিশুমন খানিক নেচে ওঠে!
ছেলেবেলার স্মৃতিগুলি যদি খাবারে মেশে? যদি এমনই দুই প্রিয় জিনিসকে এক সঙ্গে নিয়ে আসা যায়?
এ বারের কালীপুজোয় তেমনই একটি প্রয়াস করেই দেখুন। অতিথিদের জন্য বানিয়ে ফেলুন চকোলেটের চন্দ্রপুলি। এমন মিষ্টি পেলে আপনার কালীপুজোর আড্ডার সহজেই আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
প্রতীকী ছবি।
চকোলেট চন্দ্রপুলি
উপকরণ
• ময়দা: ১ কাপ
• ঘি: ৩ টেবিল চামচ
• নুন: প্রয়োজনমতো
• জল: ১ কাপ
• খোয়া ক্ষীর: ২ কাপ
• চিনি: ২ কাপ
• এলাচ গুঁড়ো: সামান্য
• চকোলেট চিপ: হাফ কাপ
• তেল: ভাজার জন্য
• চিনির রস: প্রয়োজন মতো
• ক্রিম: ২৫০ গ্রাম
• চকোলেট: ২৫০ গ্রাম
• এলাচ: ৫০ গ্রাম
প্রণালী
• একটি পাত্রে ময়দা, ঘি, নুন নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর একটু একটু করে জল দিতে থাকুন, যাতে মাখাটা আরও ভাল হয়।
• অন্য একটা পাত্রে খোয়া ক্ষীর নিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। খোয়ার রং খয়েরি হয়ে এলে তার মধ্যে চিনি দিয়ে খানিক ক্ষণ নেড়ে এলাচগুঁড়ো দিয়ে দিন।
• মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে তার মধ্যে চকোলেট চিপ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
• এর পর ময়দামাখা থেকে খানিকটা অংশ নিয়ে বেলে নিন। মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে বেলে নিন। এমনিতে খুব ছোট করে বেলতে অসুবিধা হলে একটি ছোট বাটি বসিয়ে কেটে নিন। তারপর খোয়ার মিশ্রণটি মাঝখানে দিয়ে চন্দ্রপুলির আকারে মুড়ে রেখে দিন।
• চন্দ্রপুলির ধারগুলি জল দিয়ে ভাল করে বন্ধ করে দিন। তারপর কাঁটাচামচ দিয়ে ধারগুলি মুড়ে দিতে পারেন।
• গরম তেলে চুবিয়ে সোনালি রং হওয়া অবধি ভেজে নিন।
• তত ক্ষণ চকোলেটের মধ্যে ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে খানিক ক্ষণ অল্প আঁচে জাল দিয়ে নিন। কিংবা মাইক্রোওয়েভে দু’মিনিট ঘুরিয়েও নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বার করে নিয়ে একটি চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন ভাল করে।
• চন্দ্রপুলি ভাজা হয়ে গেলে চিনির রসে চুবিয়ে রেখে দিন।
• খানিক ক্ষণ পরে, রস থেকে তুলে প্লেটে সাজিয়ে তার উপর চকোলেট সিরাপ দিয়ে পরিবেশন করুন।