Club kachori

কলকাতায় ভাল ক্লাব কচুরি খুঁজছেন? জেনে নিন কোথায় পাবেন

দেখতে পুরো ফুচকা। স্বাদে মুচমুচে কচুরি। বাঙালির সাধের ক্লাব কচুরি। একবার খেয়েই ভরপুর প্রেমে মজেছেন লক্ষ লক্ষ বাঙালি।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২১
Share:

বাঙালির সকালের জল খাবার মানেই হয় বাড়ির লুচি আলুরদম অথবা কচুরি। উত্তর কলকাতা হোক আর দক্ষিণ কলকাতাই হোক প্রায় প্রত্যেক পাড়াতেই একটা করে কচুরির দোকান থাকেই। কচুরিরও আবার রয়েছে রকমফের।

Advertisement

এক একটি দোকানের কচুরির এক এক রকম স্বাদ। কোথাও কচুরিতে থাকে হিংয়ের পুর, তো আবার কোথাও কড়াইশুঁটির, নয়তো ছাতুর। কচুরির সঙ্গে যা দেওয়া হয়, তাতেও আছে রকমফের। এক জায়গায় ছোলার ডাল। তো, অন্য জায়গায় আলুর তরকারি।

কোথাও কচুরি বড় জাম্বো আকারের তো কোথাও ছোট, একবারেই মুখের ভিতরে ঢুকে যাবে পুরো কচুরি। এই ধরনের কচুরির কিন্তু আবার এক বিশেষ নাম রয়েছে। একে বলে ক্লাব কচুরি। মুচমুচে ছোট ফুচকার মতো দেখতে এই কচুরি খেতে কিন্তু বেশ সুস্বাদু। এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল কলকাতার সেরা পাঁচটি ক্লাব কচুরির ঠিকানা।

Advertisement

লালি ছাঙ্গানি

১৮, বৈশাক স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০৭

ক্লাব কচুরির কথা হবে, আর লালি ছাঙ্গানি-র নাম বলা হবে না, তা আবার হয় নাকি? এখানে কচুরির সঙ্গে দেওয়া হয় আলুর ঝাল ঝাল তরকারি। তার উপরে থাকে ভুজিয়া ছড়ানো। এক প্লেটে থাকে চারটি ছোট ছোট কড়া করে ভাজা কচুরি। মুখে গেলেই যেন স্বাদের বিস্ফোরণ।

শর্মা টি

৫৩/৫এ হাজরা রোড, কলকাতা ৭০০০১৯

কলকাতার ক্লাব কচুরির কথা হলে শর্মা টি-এর নাম আসবেই। আলু এবং চানা মেশানো তরকারির সঙ্গে লাল লাল ক্লাব কচুরি খেতে হলে কিন্তু আসতে হবে এই দোকানে। সঙ্গে থাকে টক ঝাল আচার-লঙ্কাও।

শ্রী হরি মিষ্টান্ন ভান্ডার

৩৫এ/বি শ্যমা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড, কলকাতা ৭০০০২৫

দক্ষিণ কলকাতা কচুরি মানেই কিন্তু মাথায় আসে শ্রী হরি-র নাম। বড় কচুরি তো বটেই, পেয়ে যাবেন ক্লাব কচুরিও। যদিও এরা অবশ্য ক্লাব কচুরিকে নাম দিয়েছে গুটকে কচুরি। এতে পুর থাকে ছাতুর। সঙ্গে দেওয়া হয় হালুয়া। চারটি কচুরি এবং হালুয়া দিয়ে দাম ১২ টাকা।

শর্মা স্ন্যাক্স, লেক টাউন। জয়া সিনেমর উল্টো দিকের গলিতে একটি চোখের নার্সিং হোমের নীচে রয়েছে এই দোকান। গেলেই পেয়ে যাবেন ক্লাব কচুরি থেকে এমনি কচুরি, যা চাইবেন তাই।

আরও কয়েকটি দোকান

শর্মা স্ন্যাক্স, লেক টাউন। জয়া সিনেমর উল্টো দিকের গলিতে একটি চোখের নার্সিং হোমের নীচে রয়েছে এই দোকান। গেলেই পেয়ে যাবেন ক্লাব কচুরি থেকে এমনি কচুরি, যা চাইবেন তাই।

বিবেকানন্দ রোড থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিটে ঢুকলেই বাঁ হাতে দেখতে পাবেন একটি কচুরি সিঙাড়ার দোকান। ক্লাব কচুরি পেয়ে যাবেন এখানেও।

এছাড়া আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড থেকে সুকিয়া স্ট্রিটে ঢুকে ডান হাতে চোখে পড়বে একটি পানের দোকান। ঠিক তার গায়েই দেখতে পাবেন কচুরির দোকান। গরম কচুরি সঙ্গে এখানে আলু, কাবুলি ছোলা এবং ভাজা মশলা দিয়ে তরকারি।

ক্লাব কচুরির আর একটি ডেরা আছে কনভেন্ট রোড। বেলেঘাটা থেকে শিয়ালদহগামী রাস্তায় যেতে বাঁদিকে পড়ে এই কনভেন্ট রোড। এই রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে একটা বাঁক নিলেই পড়ে লরেটো কনভেন্ট স্কুল। এই বাঁকের কিছুটা আগে বাঁ হাতে রাস্তার উপর দেখতে পাবেন দু’টি দোকানে গরম গরম ভাজা হচ্ছে ক্লাব কচুরি। এখানে শাল পাতার বাটিতে করে পরিবেশন করা হয় কচুরি। সঙ্গে দেওয়া হয় তরকারি এবং হালুয়া।

বড় বাজার থানার গলি দিয়ে ঢুকে একটু এগোলেই পাবেন আরেকটি ক্লাব কচুরির দোকান। তার সঙ্গে দেওয়া হয় আলুর তরকারি।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement