বাঙালির উৎসব আবার মিষ্টি ছাড়া হয় নাকি? এ দিকে বাজার দরের যা অবস্থা! কিন্তু অতিথি বাড়িতে এলে থালায় সাজিয়ে মিষ্টি তো দিতেই হবে। তার উপর আবার আগামীকাল কালীপুজো আর দু'দিন পরেই ভাইফোঁটা। নাম করা মিষ্টির দোকানে যেমন দাম তেমনই ভিড়।
তবে চিন্তা নেই। শহরের কোথায় কম দামে ভাল মিষ্টি পাবেন? উত্তর থেকে দক্ষিণ খবর দিচ্ছে আনন্দবাজার অনলাইন।
ঢাকাই সুইটস: গৌরী বাড়ি এবং শ্যামবাজারের মাঝামাঝি জায়গায় দীনেন্দ্র স্ট্রিটের উপরেই দোকান। শ্যামবাজার এবং উল্টোডাঙা অঞ্চলের কম দামে ভাল মিষ্টির দোকান বললে এই দোকানের নাম আসবেই। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫ টাকার মিষ্টি রয়েছে প্রায় সব দামের। তবে মাত্র ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকার মধ্যেই রয়েছে দারুণ সব মিষ্টি।
বিষ্ণু ভোগ: শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিধান সরণি ধরে কিছুটা এগোলেই বাঁ হাতে চোখে পড়বে ছোট একটি দোকান। ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে বড় আকারের ভাল গুণমানের মিষ্টি চাইলে ঢুঁ মারুন এই দোকানে।
সোলাঙ্কি সুইটস্: শ্যামবাজার থেকে মোহনলাল স্ট্রিটে ঢুকে খানিকটা এগোলেই বাঁ হাতে সোলাঙ্কি সুইটস। এই দোকানে মিষ্টির দাম শুরু মাত্র ৫ টাকা থেকে রয়েছে ১৫, ২০ টাকা অবধি মিষ্টি। তবে বেশির ভাগ মিষ্টির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। এই দামের মধ্যেই রয়েছে প্রায় পনেরো রকমের মিষ্টি। তা ছাড়া অনান্য মিষ্টি তো আছেই। মিষ্টির সাইজ বেশ ভাল।
ল্যাংচা বাজার: শক্তিগড়ের ল্যাংচা বাজারের নাম তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এয়ারপোর্ট ১ নং গেটের কাছেই খুলে গিয়েছে তাদের শাখা। কেবল ল্যাংচা নয়, রয়েছে রকমারি মিষ্টি। যার বেশির ভাগের দামই কিন্তু ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ টাকা অবধি।
নিউ বাসন্তী সুইটস্: দমদম নাগেরবাজার অঞ্চলেই রয়েছে আরও একটি দোকান। যশোর রোডের উপরের এই দোকানে কিন্তু ঢুঁ মারতেই পারেন আপনি। দাম কম। এ দিকে মিষ্টির স্বাদ বা আকার দুই কিন্তু বেশ মনোরম।
ভারত মিষ্টান্ন ভান্ডার: লেক মার্কেট থেকে যে রাস্তা রাসবিহারী থেকে লেক রোড ধরে চারুচন্দ্র কলেজের দিকে গিয়েছে, সেখানেই বাঁ ফুটপাথ ধরে আরেকটু এগিয়ে গেলেই পাবেন ভারত মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। কম দামে দক্ষিণ কলকাতায় ভাল মিষ্টির সন্ধান করলে এই দোকানে একবার ঘুরে আসতে পারেন।
চন্দ্রনাথ সুইটস্: ভারত মাতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে আরেকটু এগোলেই দেখতে পাবেন চন্দ্রনাথ সুইটস্। লেক মার্কেট অঞ্চলের এই দোকানের সুখ্যাতি খুব। তাই ভাইফোঁটার আগে একবার ঘুরে আসতে পারেন কিন্তু।
কে সি মাইতি: দক্ষিণ কলকাতার ট্র্যাঙ্গুলার পার্কের ঠিক বিপরীতে রয়েছে একটি নাম করা বস্ত্রের দোকান। সেই দোকানের পাশের রাস্তা দিয়ে ঢুকে একটু এগিয়ে দ্বিতীয় মোড়ের ডান দিকে রয়েছে কে সি মাইতি মিষ্টির দোকান। এই দোকানের বাড়তি পাওনা শিঙাড়া। একদম বাঙালি স্বাদের হলুদ শিঙাড়া।
গণেশ: দেশপ্রিয় পার্কের মোড়ে রাসবিহারী অ্যাভিনিউের উপরেই রয়েছে এই দোকান। এই দোকানটিও কিন্তু বেশ ভাল, কম দামে ভাল মিষ্টির জন্য।
মহাপ্রভু: ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক অঞ্চলের আরেকটি ভাল দোকান হল মহাপ্রভু। যদিও এর আরও অনেক শাখা রয়েছে। তবে সাধ্যের মধ্যেই দারুণ সব মিষ্টির সম্ভার রয়েছে এদের কাছে।