অলঙ্কারে সাজছে পুরুষ। এই পরিচিত ছবি আবার নতুন চমক দেয়, যখন গয়নার আদরে ঢাকা থেকে পুরুষের অনাবৃত শরীর।
আচ্ছা গয়না কি শুধুই নারীর? কখনই নয়। সেই রাজা-মহারাজা থেকে প্রাচ্যের শাসক, বার বার পুরুষদের সাজকে ঘিরে রেখেছে গয়না।
যদিও আধুনিক আমলের সাজ-সজ্জায় পুরুষদের শরীরে গয়না বলতে সোনার চেন, ব্রেসলেট, কানের দুল কিংবা কাফলিং। কিন্তু ভারী গয়না নৈব নৈব চঃ।
পুরুষদের সাজে গয়নার সেই প্রথাগত ধারণাকেই এক ধাক্কায় ভেঙে চুরমার করে দিলেন পোশাকশিল্পী রূদ্র সাহা।
উন্মুক্ত শরীরে ফুটে উঠছে পেশির ভাঁজ — সেই শরীরেই নতুন ভাবে সেজে উঠেছে সোনা-রূপো-হীরের গয়না।
গয়নার সেই দ্যুতিই মুছে দিচ্ছে ছকভাঙা ধারণা। লম্বা হার, ব্রেসলেট বা বাজুবন্ধে পুরুষ এখন সমান স্বচ্ছন্দ।
কষ্ঠিপাথরে যেন সোনা চেনা যায়। কৃষ্ণবর্ণ পুরুষের শরীরেও সোনার একই চমক। পেশির ভাঁজে ফুটে উঠেছে সোহাগের আর্তি।
শরীর ঢেকেছে লম্বা হার-এ। কোমরবন্ধ যেন আরও তীক্ষ্ণ করে তুলেছে সেই সাজকে।
অনাবৃত শরীরে রুদ্র-র ভাবনায় যেন স্পষ্ট ফুটে উঠেছে অলঙ্কারের অহঙ্কার।
দেশ হোক বা বিদেশ, হিরের ছোঁয়া যে কোনও সাজকেই করে তোলে ঝলমলে। সেই সাজকেই নতুন আবেশে ফুটিয়ে তুলেছেন রুদ্র।
ছবিতে কালো মসলিন ভেদ করে ফুটে উঠেছে সোনার আভা।
সোনা বা হিরেই নয়, রুপোর তৈরি বিভিন্ন অলঙ্কারেও রুদ্র নতুনভাবে সাজিয়ে তুলেছেন পুরুষকে।
লাল শার্ট, টর্নড জিন্স-এ সেই চেনা পুরুষই অচেনা হয়ে উঠেছে রুপোর সাজে। চোখে ভাষাতেও পরম প্রাপ্তি।মডেল: অরিজিৎ সিকদার, কুনাল মণ্ডল, তন্ময় আচার্য। ছবি: সৌরভ, সোনু, সৌভিক দাস। রূপটান: অর্চন।