পুজোর আগে বাকি মাত্র তিনটি রবিবার। পুজোর বাজার এখন জমজমাট। দেরি করতে চাইছেন না আমবাঙালি।
সেই জায়গায় মহিলাদের সাজ-পোশাকের কথা যদি আসে, সবার আগে মনে পড়বে শাড়ির কথা।
এখন সামাজিক মাধ্যমগুলি খুললেই দেখা যায় ‘শাড়িতেই নারী’ একাধিক পোস্ট। পুজোর অষ্টমীর সাজ শাড়ি ছাড়া যেন হয়ই না। শাড়ির কথা উঠলেই মাথায় আসে তাঁতের নাম। তাঁত মানেই ফুলিয়া-শান্তিপুর।
জামদানি: বরাবরে মতো এইবারও এই শাড়ির বাজার কাঁপাছে। তবে এই বার কিছুটা পরিবর্তনের ছোঁয়া। ফুলিয়া-শান্তিপুরের হালকা, নরম শাড়ি বাজারে এসেছে।
বালুচরি শাড়ি: শাড়ির জগতে পরিবর্তন আসলেও বালুচরির যে ঐতিহ্য অর্থাৎ নকশা, তার বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়নি। তবে আগের থেকে হালকা তৈরি করা হচ্ছে। আপনিও নিজেকে নতুন রঙে সাজাতে কিনতেই পারেন।
কটনের উপর ঢাকাই কাজ করা শাড়ি: এখন কটনের উপর ঢাকাই কাজ করা শাড়ি অনেকেই পছন্দ করছেন। হালকা, নরম চট করে পরে ফেলতে পারবেন। দামও হাতের লাগানোর মধ্যেই আছে। বস্ত্র ব্যাবসায়ী তাপস বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ এই শাড়ি গুলো ৪৫০-৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০০ টাকা দামের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফুলিয়া-শান্তিপুর থেকে আসছে এইবার।’’
সিল্কের উপর ঢাকাই: কাজ করা ফুলিয়া-কালনা সিল্কের উপর ঢাকাই কাজ করা শাড়ি বাজারে এসেছে। দামটা একটু বেশি। ১১-১২ হাজার থেকে শুরু হলেও এই শাড়ি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাপসবাবু।
কটন ঢাকাই শাড়ি: এই ধরনের শাড়িগুলি দুই প্রকারের হচ্ছে, একটা নরম ও একটা ভারী। নরম শাড়িই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কাউকে উপহার দিতে গেলে ভারী শাড়ি এগিয়ে আছে। তবে এই শাড়িগুলি আপনি আগের মতো মোটা পাড় পাবেন না। বস্ত্র-ব্যবসায়ী শ্রাবণী জোয়াদার বলেন, ‘‘নকশা প্রতিদিনই বদলে যাচ্ছে। আগের গতানুগতিক বাটিক প্রিন্ট কমে গিয়ে লম্বা স্ট্রাইপ বেশি থাকছে।’’
কোথায় পাবেন: শহরের অনেক বিখ্যাত শাড়ির দোকান আছে, যেখানে অনায়াসে তাঁতের শাড়ি পেয়ে যাবেন। তবে যদি কষ্ট করে শান্তিপুর যেতে পারেন, সেখানে বসা হাটে দোকানের থেকে বেশ কম দামে পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দের শাড়ি। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসে।
কী করে যাবেন: শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুরগামী যে-কোনও ট্রেন করে শান্তিপুরে নামতে হবে। স্টেশনের বাইরে থাকা দাঁড়িয়ে থাকা টোটো ধরে ঘোষ বা বঙ্গীয় মার্কেটের কথা বললেই হবে। এই দুই মার্কেটে হাট বসে।