বলে বলে দশ গোল দেবেন এই প্রজন্মের নায়িকাদের। কখনও পিঠকাটা ব্লাউজে আধুনিকা, কখনও বা লাল বেনারসিতে সাবেক বঙ্গনারী। দশকের পর দশক ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছেন মহানায়িকা। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
মহালয়ার আগে পুজোর কেনাকাটা সারতে ব্যস্ত টলিউডের অভিনেত্রী। ‘সিমা গ্যালারি’তে বাৎসরিক প্রদর্শনী ‘আর্ট ইন লাইফ’-এ দেখা মিলল তাঁর। কলমকারি থেকে চান্দেরি, ‘সিমা’র সম্ভারে রঙিন হয়ে উঠলেন ঋতুপর্ণা৷
কেবল শাড়ি নয়। গৃহসজ্জার উপকরণ থেকে ব্যাগ, দোপাট্টা থেকে গয়না– ঘুরে ঘুরে সবই দেখলেন নায়িকা। শাড়ির সঙ্গে মানানসই কানের দুল, ব্যাগ। যত্নে সাজালেন নিজেকে।
সাজপোশাক নিয়ে ছুঁৎমার্গ নেই ঋতুপর্ণার। স্নিগ্ধ হোক বা চড়া, নিজেকে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার সাহস রয়েছে অভিনেত্রীর। ‘সিমা’র প্রদর্শনীতেও কেনাকাটার মাঝে নিজেকে মনের মতো করে সাজালেন তিনি।
অফিসে যাওয়ার পোশাক থেকে পার্টির সাজ, কোথায় ঠিক কোন ধরনের শাড়ি পরলে ভাল– ফ্যাশন টিপস নিয়ে হাজির হলেন নায়িকা।
‘সিমা’র সম্ভারে মুগ্ধ ঋতুপর্ণার কথায়, ‘‘সিমা-য় এলে কী না পাওয়া যায়! এখানে এলেই মন ভরে যায়। সিমা-র হ্যান্ডলুম অপূর্ব।’’ হ্যান্ডলুম শাড়ির প্রতি তাঁর যে বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে, জানাতে ভুললেন না সে কথা।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিতর্কে জর্জরিত অভিনেত্রী। তার পরেও মনোবলের জোরে মাথা উঁচু করে চলতে পারেন ঋতুপর্ণা। আর সাজই তাঁর ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয় প্রতি বার।
এ বারটাও ব্যতিক্রম হয়নি। তাই তো আনন্দবাজার অনলাইনকে ঋতুপর্ণার বার্তা, ‘‘ফ্যাশন আর প্রতিবাদের ভাষা মিলেমিশে একাকার।’’
যতই বিতর্ক ছেঁকে ধরুক তাঁকে, আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জন করতে ভোলেননি বাঙালি অভিনেত্রী। কখনও রাস্তায় নেমে, কখনও সাজপোশাকের হাত ধরে প্রতিবাদ জারি রাখছেন তিনি।