সবে মাত্র দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে। বাঙালি সদ্য টানা রাত জেগে ঠাকুর দেখা ও সাজপোশাকের ধুম পেরিয়ে ক্ষণিকের বিশ্রাম পেয়েছে। এর মধ্যে এসে গিয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো।
কোজাগরী পুর্ণিমার দিন লক্ষীমন্ত সাজতে মন চাইছে? তবে কী রকম ভাবে সাজলেই আপনাকে দেখাবে ঠিক লক্ষ্মী প্রতিমাটির মতো। টিপস্ দিলেন স্টাইলিস্ট রুদ্র সাহা। সদ্য বিবাহিতাদের জন্য লক্ষ্মীপুজোর দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর হয়। এই দিনটিকে ঘিরে যেমন তাঁদের নানা ভাবনা চিন্তা আয়োজন থাকে, তেমনই নানা স্বপ্নও থাকে সাজপোশাকের জন্য।
রূদ্র সাহা বললেন, ‘‘নব বিবাহিতাদের জন্য লক্ষ্মীপুজোর সাজে থাকুক লাল টকটকে ব্লাউজের সঙ্গে লাল পাড় সাদা শাড়ি। সঙ্গে বিয়ের বহু গয়না একসঙ্গে পরে নিন, যাকে বলে গা ভরা সোনার গয়না পরা, একদম সেই রকম। গলায় চোকার, চেন আবার হাতে শাঁখা-পলা ইত্যাদি থাকুক।’’
আবার তরুণী ও যুবতীদের সাজ হোক একটু অন্য। তবে লক্ষ্মী ঠাকুরের মনের মতোই। তাঁরা পরতে পারেন যে কোনও হলুদ শাড়ির সঙ্গে হলুদ ব্লাউজ। নানা ধরনের কমলা রঙের শেডস, গোল্ডেন শাড়ি ও ব্লাউজ কিংবা রানী রঙের শাড়ির সঙ্গে গাঢ় সবুজ রঙের ব্লাউজ পরে নিতে পারেন লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে।
অনুষঙ্গে অবশ্যই থাকুক সোনার গয়না, তা ভারী কানের দুল হতে পারে, কিংবা কানে মাঝারি দুলের সঙ্গে গলার হার হতে পারে।
বিবাহিতাদের জন্য চওড়া শাঁখা পলা কিংবা তরুণী অবিবাহিতাদের জন্য লাল কাঁচের চুড়ির গোছার সঙ্গে সোনার বালা মিশিয়ে পরলে সাজ লাগবে আরও চমকদার ও সুন্দর।
আর ব্লাউজের কেতা? স্প্যাগেটি স্ট্র্যাপ বা সাহসী পিঠের ব্লাউজ নৈব নৈব চ। রুদ্র সাহার মতে, ‘‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছকভাঙা সাজতে নেই, সব দিনের সাজে যে মোহময়ী চটক থাকতেই হবে তাঁরও কোনও মানে নেই। লক্ষীপুজোর সাজে অকারণ সাহসিকতার বদলে থাকুক নির্ভেজাল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া"।
গ্লাস হাতা ব্লাউজ বা ফ্রিল দেওয়া অনেক ব্লাউজ এখন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, তাই পড়ে নিন শাড়ির সঙ্গে।
লাল শাড়ির সঙ্গে সবুজ ব্লাউজের কন্ট্রাস্ট, বিবাহিতা হোক কী অবিবাহিতা সকলের জন্যই আদর্শ। সাবেকি সাজের জন্য এই মিশেলই দারুণ। ‘‘কথায় বলে মা লক্ষ্মী কোজাগরী পূর্নিমাতে লক্ষীমন্ত সাজেই বেশি খুশি হন,’’ বললেন রুদ্র সাহা, ‘‘তাই লক্ষ্মীপুজোর সাজে আরও এক ধাপ উঠতে চাইলে পায়ে অবশ্যই পরুন মোটা করে আলতা। বিবাহিতা হন কী অবিবাহিতা, আলতা পরা চাই-ই চাই।’’
মধ্য বয়স্কা গিন্নিদের জন্য এই একই রকম সাজে থাকুক আরও বনেদিয়ানার ছোঁয়া। লাল ব্লাউজ ও সাদা শাড়ির সঙ্গে থাকুক গলায় দুটি হার, কানে পাশা দুল। পাশার সঙ্গে যদি টানা চেন থাকে তা হলে তো আরও ভাল, সে রকম দুলই বেছে নিন।
আর নাকে থাকুক সাবেকি নথ। মাত্র একটি মুক্তোর টানা নথ, আর ভেলভেটের টিপের বদলে থাকুক সিঁদুরের টিপ। বিবাহিতা হলে অবশ্যই চওড়া করে সিঁদুর পরবেন, তার সঙ্গে মুখের সাজেও থাকুক বেশ লক্ষ্মীমন্ত লাল টুকটুকে ধরণ।