Durgapuja 2022

শৈশবের সাজে নতুন ভাবে ফিরুক সাবেক ছোঁয়া

বাচ্চাদের সাজাতে হালফিলের পশ্চিমি ধাঁচ অনুকরণ না করে ভরসা রাখুন চিরাচরিত ঘরোয়া সাজে। সন্ধান দিচ্ছেন পোশাকশিল্পী পরমা ঘোষ।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৫০
Share:

ছবি: ফেসবুক

হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোর সাজগোজের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। বাড়ির বড়দের সাজের খুঁটিনাটি পরিকল্পনার ফাঁকে ভুললে চলবে না বাড়ির কচিকাঁচাদের কথাও। ছেলেবেলার পুজোর স্মৃতি সবার কাছেই ভীষণ আদরের। তাই প্রথাগত সাজে নয়, বরং বাড়ির খুদে সদস্যের সাজে ভরসা রাখুন আধুনিকতা ও অভিনবত্বে।

Advertisement

কিন্তু কী ভাবে? এই বছর পুজোয় বাচ্চাদের সাজের সুলুক সন্ধান নিয়ে হাজির পোশাক শিল্পী পরমা ঘোষ।

ট্রেন্ড-নির্ভরতা নয়: বাচ্চাদের সাজে স্রেফ হালফিলের পশ্চিমি ধাঁচ অনুকরণ না করে ভরসা রাখুন চিরাচরিত ঘরোয়া সাজে। বাঙালির সব থেকে বড় আনন্দ উদযাপনের সময়ে বাচ্চাদের সাজেও থাকুক বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। ফ্রক, শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শাড়ি, ধুতি এই সব পুরনো হয়ে এসেছে, এমন ভাবনা না মাথায় না আনাই শ্রেয়! বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে পরমা ফ্রক তৈরির ক্ষেত্রেও বেছে নিচ্ছেন জামদানি কাপড়। জানালেন, প্রথাগত পোশাকেও নতুনত্বের ছোঁয়া আনতে পোশাকের নকশা হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে ছোটদের গল্পের কোনও লাইন, ছড়ার পংক্তি অথবা ছোটদের বইয়ের কোনও ছবি। 'হযবরল' থেকে শুরু করে 'লক্ষ্মী মেয়ে'র মতো কোনও লাইন কিংবা সুকুমার রায় ও উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর কোনও অলঙ্করণ খুদের পোশাকে থাকলে সব থেকে কেতাদুরস্ত বাবা-মায়ের তকমা পেয়ে যাবেন আপনিই।

Advertisement

জোর দিন স্বাচ্ছন্দ্যে: বাচ্চাদের সাজে অভিনবত্ব ও সাবেকিয়ানার পাশাপাশি মাথায় রাখা দরকার স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিও। এই ক্ষেত্রে পরমার পরামর্শ, প্রচলিত শাড়ি বা ধুতির বদলে বাচ্চাকে পরান ইলাস্টিকের ধুতি বা এমন নতুন ধরনের শাড়ি, যার নীচের অংশ ধুতির মতো। এতে যেমন কচিকাঁচাদের বাড়ির বড়দের মতো সাজার সাধও পূরণ হবে, ঠিক তেমনই পোশাক সামলে আনন্দ করতেও কোনও সমস্যা হবে না।

ছবি: ফেসবুক

সারল্য বজায় থাকুক: সময় বদলেছে। পরমা জানাচ্ছেন, তাঁদের ছেলেবেলার দিনগুলি কেটেছে খুব সহজ ও সরল ভাবে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেই সারল্য অনেকটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। এখনকার শৈশব অনেকটাই অন্য রকম। বিশ্বায়নের বাজারে শৈশবের মূলস্রোতটুকু ধরে রাখাই এই মুহূর্তে বাচ্চাদের সাজগোজের ক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা। মুশকিল আসানে পরমার পছন্দ ‘এ-লাইন ফ্রক’। মা-ঠাকুমাদের করা এমব্রয়ডারির নকশাও ফিরিয়ে আনতে পারে হারানো ছেলেবেলার স্বাদ।

পরমার মতে, “বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা কিন্তু অনেক বেশি আবেগনির্ভর। নিজের জন্য একটা শাড়ি না কিনেও হয়তো আমি আমার সন্তানকে জামা দেব।” এ ছাড়াও বাঙালি মায়েদের ক্ষেত্রে একটি অভ্যেস প্রায়শই লক্ষ্য করা যায় — বাচ্চাদের পোশাক কেনার ক্ষেত্রে মাপে খানিক বড় পোশাক কেনা। এতে একই পোশাক বেশ কয়েক বছর পরা যায়। তাই কখনও ইচ্ছে হলে, সেই পোশাককেই কিন্তু খানিক নতুন ভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায়।

সব শেষে পরমার মত, এ বার পুজোয় আধুনিকতার পিছনে না দৌড়ে বাচ্চাদের পোশাকে বরং ফিরে যান শিকড়ের কাছেই।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement