সর্ব শক্তির আধার হলেন মহামায়া । যুগে যুগে যিনি পূজিত ‘দুর্গা’, ‘কালী’, ‘জগদ্ধাত্রী’ রূপে। পুরাণ মতে মহামায়া ত্রিগুণ ধারিণী।
দুর্গা পুজোর প্রাক্কালে দেবীর ত্রিগুণ প্রকাশে নতুন ভাবে আবির্ভূত হলেন ‘ত্রিনয়নী’ খ্যাত শ্রুতি।
‘কালী’ রূপের সঙ্গে জন্ম থেকেই এক বিশেষ সংযোগ আছে অভিনেত্রীর। টিভির পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ ‘ত্রিনয়নী’ রূপেই।
শ্রুতির কথায়, মা কালীর তেজ, গায়ের রং, চুল সব কিছুই তিনি পেয়েছেন। সেই কারণেই একটা যোগ তিনি অনুভব করেন মহামায়ার এই রূপের সঙ্গে। মহামায়ার সংহার রূপ মা কালী। জবা ফুল তাঁর খুব প্রিয়। শ্রুতির সাজেও তা প্রতিফলিত হয়েছে।
অভিনেত্রীর ছোটবেলা কেটেছে কাটোয়ার বাড়িতে। সেখানে এক বিখ্যাত কালী আছেন ‘ক্ষেপি মা’ নামে। মহা ধুমধাম করে হয় ‘ক্ষেপি মা’-এর আরাধনা। এ দিকে, আদর করে শ্রুতিকে তার নিজের মা ডাকেন ওই ‘ক্ষেপি মা’ নামেই।
শ্রুতি মা কালীর সাজে সেজে উঠলে, তাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন তাঁর মা। জানালেন অভিনেত্রী নিজেই।
তাঁর অন্তরে মা কালীর বাস। এমনটাই অনুভব অভিনেত্রীর নিজের।
মহামায়ার দুর্গা রূপ ‘অপরাজিতা’ নামেও পূজিত। দশমীতে তাই অপরাজিতা পুজার রীতি আছে।
মৃন্ময়ী মাকে দশমীর বিশেষ তিথিতে অপরাজিতা ফুল দিয়েই বন্দনা করা হয়।
শ্রুতির এই সাজে প্রকাশ পেয়েছে মহামায়ার অপরাজিতা রূপ।
‘ত্রিনয়নী’র পরে সাড়া জাগানো কাজ সে ভাবে করা হয়নি শ্রুতির। তা নিয়ে আক্ষেপ না থাকলেও অভিমান আছে তাঁর। তবে মহামায়ার সাজে এই সাদা বেনারসিতে তিনি যেন সত্যিই অপরাজিতা।
গায়ের রঙের জন্য অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে শ্রুতিকে। তবে আজ তাকে সকলে চেনেন প্রতিবাদী হিসেবেই। ফর্সা অভিনেত্রীকে মেকআপ করিয়ে কালো মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করানো হলে উল্টোটা হবে না কেন? প্রশ্ন শ্রুতির।
মা কালীর ভক্ত হিসেবে শ্রুতির প্রিয় ফুল জবা হলেও তিনি ভালবাসেন নীল অপরাজিতা। আসলে মনে মনে তিনি ভালবাসেন স্বয়ং মহাদেবকে।
মহামায়ার রুদ্র রূপই পছন্দ তাঁর। কেউ ফোঁস করলে তাকে ছোবল দেওয়ার শক্তি রাখেন শ্রুতি। ঠিক যে ভাবে মহামায়া ধ্বংস করেছেন রক্তবীজকে।
প্রেমিক প্রযোজক বলে হয়তো অন্যরা কাজ দেন না, এমন ভাবনা অনেক সময়ে ঘিরে ধরে অভিনেত্রীকে। তবে প্রেমিকের সঙ্গেও কাজের সুযোগ আসছে কই! তাই মহামায়ার কাছে ন্যায় চান শ্রুতি।
অর্থের জন্য, গায়ের রঙের জন্য কোনও শিল্পী যাতে বঞ্চিত না হয়, এটাই মহামায়ার কাছে প্রার্থনা শ্রুতির।
ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ আছে কি না, জানা নেই। শ্রুতি বিশ্বাস রাখেন কাজের প্রতি নিজের নিষ্ঠা, আর মহামায়ার উপরেই।
১০৮টি পদ্মে মা দুর্গার পূজা করেছিলেন স্বয়ং শ্রী রাম।
সাজে, মা মহামায়ার প্রতি পদ্মই যেন নিবেদন করেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি।
পুজোর দিনে শাড়ি পরতে ভালবাসেন শ্রুতি। সোনালি জরির কারুকাজ করা এই সাদা বেনারসি তাই পছন্দ করে নিয়েছেন মহামায়ার রূপ প্রকাশে।