গত বছর ফ্যাশন দুনিয়ায় একটি বড় শূন্যস্থান রেখে চলে গিয়েছিলেন শর্বরী দত্ত। কিন্তু পুজোর ফ্যাশনে কোনও ফাঁক রাখছে না তাঁর ব্র্যান্ড ‘শূন্য’। নিজস্ব চিত্র
পাওয়ার ড্রেসিং মানে এমন পোশাক যাতে নারী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু সেই পোশাক মানে কি শুধুই পশ্চিমী ব্লেজার-ট্রাউজার বা শুধুই ফর্ম্যাল স্কার্ট ব্লাউজ? মোটেই না। ভারতীয় পোশাকেও নারী ততটাই দৃঢ়, ততটাই শক্তির প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। চাই মানানসই পোশাক। প্রয়াত ডিজাইনার শর্বরী দত্ত মূলত ছেলেদের পোশাক নিয়েই কাজ করেছেন। কিন্তু মেয়েদের জন্যেও তাঁর ভাবনা কম ছিল না। কী করে মেয়েরা আরামদায়ক পোশাকেই আরও অভিনব রূপে সেজে উঠবে, তা নিয়ে নানা রকম নকশা রেখে গিয়েছিলেন তিনি। সেই নকশা থেকেই এ বার পুজোর নতুন সংগ্রহ ‘লমহে’।
প্রত্যেক বার কখন মা দুর্গা আসবেন, সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। সেই মুহূর্তের কথা মাথায় রেখেই এই নতুন পশরার নামকরণ। শর্বরী দত্তের সৃজনশীলতা অনুযায়ী এই সংগ্রহে রয়েছে সিল্ক, তসর ও সুতির কুর্তি। প্রত্যেকটা পোশাকই রং এবং কারুকাজের বিশেষ মিশেল। দেখতে জমকালো, কিন্তু পোশাক হিসেবে অত্যন্ত আরামদায়ক। তাই পুজোর সময়ে হইহই করে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখার জন্য আদর্শ।
‘শূন্য’র নতুন পশরায় মেয়েদের পোশাক।
তবে পোশাকগুলির আসল আকর্ষণ অন্য জায়গায়। শুধু উৎসবের মরশুমেই নয়, এগুলি পরা যাবে যে কোনও সময়ে। রোজকার জীবনে কাজে যাওয়ার সময়ও দিব্যি পরা যাবে এই কুর্তিগুলি। কাজের পর সন্ধেবেলা ফের কোনও অনুষ্ঠান আছে? এই কুর্তির সঙ্গে মানানসই কোনও স্টোল আর বাড়তি কিছু অ্যাকসেসরি পরে নিন। দিব্যি ‘পার্টি লুক’ তৈরি হয়ে যাবে। শর্বরী দত্ত বরাবরই চেয়েছিলেন, মেয়েরা রোজকার জীবনেও রুতিশীল পোশাক পরুক। সেই ভাবনার ছাপ রয়েছে এই পশরায়।