সপ্তমীর রাত। সোহিনীর সন্ধের মুড বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, গল্প আর দেদার খাওয়াদাওয়ার। তাই হালকা মেজাজে তিনি, তারকারও মন চায় নতুন জামা, নতুন সাজ কিন্তু তা যেন ভারী না হয়ে যায় সেই ভাবনা!
অনেক চিন্তার শেষে বেছে নিলেন কো-অর্ড সেট।ধুতির মতো কোঁচানো স্কার্টের সঙ্গে ন্যুডল স্ট্র্যাপের ক্রপ টপ। তাতেই মুখে হাসি ফুটল তাঁর।
কেশসজ্জায় রাখতে চাইলেন অন্য ধারার চমক। এক ঘেয়ে খোলা চুল বা খোঁপার সাজ ছেড়ে মাথার মাঝ বরাবর সিঁথি করে দুই দিকে বেঁধে নিলেন দুটি খোঁপা বা যাকে হাল ফ্যাশনে বলে ‘স্পেস বান’। খুদেদের মতো সাজগোজ? তা হোক না, তাতেই মণ্ডপ মাতানোর পরিকল্পনা অভিনেত্রীর।
কানে হালকা দুল, শিউলি আদলের এই গয়নায় খুব অল্পতেই জমে উঠেছে তাঁর সাজ। পায়ে আরামের সাদা স্নিকার্স গলিয়ে আড্ডার মেজাজে তিনি তৈরি।
বাইরে বেরনোর আগে সাজকে আরও একটু নজরকাড়া করে তুলতে তিনি ক্রপ টপের উপরে পড়ে নিলেন অর্গ্যাঞ্জা কাপড়ের স্বচ্ছ টপ।স্মোকি কাজলের মেকআপে ঘরের পারদ চড়ল কী আরেকটু?
সাজ বদল। এই বার সোহিনী খুঁজছেন অষ্টমীর শাড়ি। শেষে ঠিক করলেন স্বচ্ছ সোনালি-হলুদ রঙের শাড়ির সাজ। অনুপ্রেরণা? স্বয়ং ভারতীয় ফ্যাশন দুনিয়ার কিংবদন্তি মহারাণী গায়ত্রী দেবী।
রাজকীয় শাড়ির সাজে নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। দু’চোখে আত্মবিশ্বাসের ঝলক, তিনি শুধুই তারকা নন, ছকভাঙা হাল ফ্যাশনের অনুরাগিনীও বটে।
লাল সুতোর কারুকাজ করা নকশাদার সোনালি রঙের ব্লাউজ, আর স্বচ্ছ রেশমের শাড়ি, অষ্টমীর সাজে তিনি নজরকাড়া। এমন সাদামাঠা মিশেল তারকাদের পছন্দের থেকে একটু অন্য ধারার। তবে সোহিনী তাতেই অনন্যা।
হাতে, কানে ও গলায় মুক্তোর সাজ। এক ছড়া মুক্তোর মালা ও ছোট্ট মুক্তোর দুল, তাতেই বাজিমাত অভিনেত্রীর। সাজকে আরেকটু চমকদার বানাতে সংগ্রহ থেকে বের করলেন প্রিয় মাথাপট্টি। হালফিলের ফ্যাশন দুনিয়ায় তাক লাগানো এই গয়নার ব্যবহারে সাজ সত্যিই পেয়েছে এক রাজকীয় মাত্রা।
হালকা মুখের সাজ, মাথায় লম্বা আঁচল দিয়ে ঘোমটা টেনে দাঁড়ালেন তিনি। ক্যামেরার সামনে যতটা সাবলীল নিজের সাজের বিষয়েও ততটাই মনকাড়া ভাবনা তাঁর মাথায়।
নবমীর রাত। সবাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেছে নেন কালো বা গাঢ় রঙের কোনও পোশাক। কিন্তু তিনি সব সময় সাধারণের থেকে আলাদা সে পোশাকই হোক কী অভিনয়ের জন্য চরিত্র বেছে নেওয়া। এই বারেরও তার ব্যতিক্রম নেই, দেখেশুনে পছন্দ করলেন লাল কো-অর্ড সেট।
পিওর সিল্কের লাল কো-অর্ড সেট। সঙ্গে লাল জ্যাকেট। সাবেকি ভারতীয় সাজে এক অভিনব ছোঁয়া। স্টাইলিস্ট তোর্সা জানালেন, “অনেকেই শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেননা, তাঁদের জন্য চিরন্তন সাজের মধ্যেই এই ধরনের পোশাক আপনার পুজোর সাজে যোগ করতে পারে অন্য এক মাত্রা”।
নবমীর রাতের হই হুল্লোড়ের জন্য সোহিনী তৈরি, তিনি অভিনব এই সাজে পুজোর সাজের নতুন আনন্দ। চোখে হালকা কাজলের সাজ, গাঢ় লাল রঙের সঙ্গে মানিয়ে মেকআপ, তিনিই আলোচনার মধ্যমণি।
গয়নার বাহুল্য নেই। কানে মুক্তো সঙ্গে সোনালি বড় জরোয়া কাজের দুল। লালে-সাদায় তাঁর সাজ যেন বলে ওঠে “নবমী নিশি না হইয়ো ভোর!” এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।