পুজোর নজর কাড়া সাজ নিয়ে ভাবনা চিন্তার অন্ত নেই। আঠেরো থেকে আটচল্লিশ, ভিড় ঠেলে পুজোর বাজার নিয়ে চলছে দারুণ লড়াই। কিন্তু শুধু কিনলেই তো হবে না। নায়িকাদের মতো নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য চাই খোদ নায়িকাদের টিপস।
তাই আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সিমা আর্ট গ্যালারি ঘুরে দেখলেন অভিনেত্রী রাইমা সেন।
বেছে নিলেন দারুণ কিছু শাড়ি আর সেজে উঠলেন পোশাক-শিল্পী পরমা ও অভিষেক রায়ের ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে। দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
ধরুন, যদি হয় দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী, সাধারণত নরম রঙের শাড়ি পরতেই চান সবাই। রাইমাও তার থেকে অন্য রকম নন, তিনি বেছে নিয়েছেন প্রাদেশিক কাজ করা হলুদ সিল্কের শাড়ি।
অন্য ধরনের এই শাড়ির সঙ্গে তিনি বেছে নিয়েছেন এক রঙা গোলাপী ব্লাউজ। ভারী কাজের শাড়ির সঙ্গে ছিমছাম ব্লাউজ দারুণ মানিয়েছে।
পুজোর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে গলায় পরেছেন ভারী কাজের নেকলেস বা হার। সঙ্গে একই ধাঁচের দুল পরেছেন কানে।
ষষ্ঠীর সন্ধের হালকা আমেজ ধরে রাখতে দুল বেঁধেছেন পনিটেল করে, সামনে অল্প চুল খুলে রেখেছেন। কিশোরীর মতো মিষ্টি লাগছে তাঁর সাজ।
সপ্তমীর সাজ আরেকটু জমকালো, অন্য রকম। খোলা চুলে রাইমার আবেদন যেন ঘনিয়ে উঠেছে তাঁর অবয়ব জুড়ে। হাতে বই নিয়ে তিনি বেশ মগ্ন সপ্তমীর সন্ধে।
কালো, মেরুন, বাদামী রঙের মিশেলে এই শাড়িও যেমন অন্য রকম, তেমনই এই শাড়ি তিনি পরেছেনও অন্য রকম করে। শাড়িতে রয়েছে সাদা বুটি। সিমার অন্য সব শাড়ির মতোই এই শাড়িও যেন এক অনন্য সংস্কৃতির দলিল।
গয়না হিসেবে গলায় পরেছেন বেশ কয়েকটি ডোকরা ও বিডসের কাজ করা হার। কানে কিছু না পরলেও তাঁর হাতে ছিল আদিবাসীদের নিজস্ব ধাঁচে গড়া চুড়ি আর আংটি।
শাড়ির আঁচল একটু অন্য ভাবে প্লিট করা, সঙ্গে পুরো হাতা সাদা ব্লাউজের বোতাম বেশ গভীর ভাবেই খোলা। শরীরী আবেদনের এক অন্য ইশারা ধরা পড়ছে তাঁর কাজল কালো দুই চোখে।
অষ্টমীর সকালের সাজে থাকবে বনেদিয়ানার ছোঁয়া। ‘পথের পাঁচালী’-র সর্বজয়ার শাড়ির আদলে তৈরি এই শাড়ি, লাল ও সাদার মিশেলে।
সাবেকি ঢঙে বাঁধা খোঁপা, সঙ্গে ঘন কাজলের ইশারা, রাইমার ফিরে চাওয়া যেন পুরনো কলকাতার বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোর দিনে। তাঁর ব্লাউজের পিঠে রয়েছে ভরাট কারুকাজ, লাল টক্টকে রঙের মায়ায় অনন্যা রাইমা।
আয়নার সামনে নিজের খেয়ালেই ডুবে মায়াচারিণী রাইমা। সাদা খোলের সুতির গায়ে লেপ্টে থাকা শাড়ির সঙ্গে রুপোলী গয়নার মানানসই সাজ। নিজেকে সাজাচ্ছেন অভিনেত্রী।
গয়নার সম্ভার নারীহৃদয়ের গোপন পথের চাবিকাঠি। সিমার ঢালাও গয়নার সম্ভার দেখে মোহিত রাইমা। আবারও ফিরে চাইলেন তাঁর সাজের ঝলক ফুটিয়ে তুলতে।
আনত চোখে কেমন মায়া তাঁর। তিনি অষ্টমীর লাল রঙের আভায় রঙিন। পুজোর দিনে কার অপেক্ষায় অভিনেত্রী?
নবমীর রাতে ছক ভাঙা জমকালো সাজে রাইমা। সাবেক আর আধুনিকতার মিশেলে এক অন্য রকম সাজ যেন। সিল্কের কালো শাড়ির পাড় জুড়ে রয়েছে জরির কাজ।
তার সঙ্গে ফুশিয়া রঙের কটকটে উজ্জ্বল ব্লাউজ পরেই বাজিমাত তাঁর সাজের। পিঠঢাকা হলেও, তাতে সাজের আবেদনে বিন্দুমাত্র খামতি চোখে ধরা পড়েনি।
খোলা চুল সুন্দর করে স্টাইলিং করেছেন, যেন রাইমা নন খোদ বনলতা সেন! সঙ্গে তাঁর ঘন কাজল চোখের পাশপাশি রয়েছে গাঢ় লাল ঠোঁটের সাজ।
সোনালি সাবেকি গয়নায় অভিনেত্রী যেন মন মাতানো সাজে বিভোর করছেন চারপাশ। নিজেই জানালেন। ‘আমার মায়ের সঙ্গে অনেক এসেছি এই সিমায়’, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অভূতপুর্ব মিশেল নিয়ে রাইমার পুজোর সাজ সম্পুর্ণ।