অভিনয় জগতে দুজনেই আছেন বেশ অনেক বছর হল। টলিপাড়ার চেনা মুখ শুধু তাই নয়, দু’জনেই ইদানীং টেলিভিশনের পর্দায় দাপুটে জনপ্রিয়ও বটে। জুটির নাম শন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, তাঁরা মেতেছেন পুজোর সাজের হালহকিকত নিয়ে।
সামনেই পুজো, তা চোখে পড়ছে শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাজগোজের তোড়জোড় দেখেই। সুদর্শন, সুঠাম চেহারায় সপ্তমীর দিনের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন মিশমিশে কালো পাঞ্জাবি ও ধুতি।
কটন সিল্ক কাপড়ের এই কালো পাঞ্জাবি কনুই অবধি গুটিয়ে পরলেই তিনি জানেন যুবতীদের হৃদস্পন্দন এক ধাক্কায় কতখানি বাড়িয়ে দিতে পারবেন। সঙ্গে রয়েছে হাতে বোনা তসরের ধুতিতে শেডেড লাল পাড়, তাতে হাতের কাজে সুতোর নকশা।
সপ্তমীর সাজে সায়ন্তনী লক্ষীমন্ত অবতারে। হাতে বোনা, হালকা গোলাপী ও ঘিয়ের মিশেলে শেডেড কাঁথা কাজ করা শাড়িতে তিনি একদম অন্য রকম। পর্দার নামজাদা অভিনেত্রীর বদলে তাঁকে দেখাচ্ছে একদম পাশের বাড়ির মেয়েটির মতো!
তসর শাড়িতে ঠাসা সুজনি-কেতায় কাঁথার কারুকাজ, সঙ্গত দিয়েছে একদম একঢালা ঘিয়ে রঙের ব্লাউজ। হাতে ও কানে সোনালি ও মুক্তোর মিশেলে তৈরি গয়না। টেনে বাঁধা খোঁপায় সুন্দর করে সাজানো রয়েছে জুঁইয়ের মালা। ঘন কাজল টানা চোখ, সায়ন্তনী যেন রূপে অনন্যা।
অষ্টমীর সকাল। এই বছর রবিবার পড়ছে, তাই পুজোর পাশপাশি ছুটির আমেজ যেন মাত্রাছাড়া ভাবে ধরা দিচ্ছে সায়ন্তনীর চোখে মুখে। তাঁর পছন্দ একটু অন্য রকম, আর সাবেকি হালকা রঙের সাজ নয়, এই বার তিনি ঝলমলে তারকা।
হাতে বোনা তসর শাড়ির সঙ্গে একঢালা উজ্জ্বল কাঁচা হলুদ রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ। শাড়িতে রয়েছে হাতে ব্লক প্রিন্ট করা নানা উজ্জ্বল কাজ। গলায় আজ ভারী হার অভিনেত্রীর।
কানেও রয়েছে বড় মাপের দুল। খোলা এক ঢাল চুল আর স্মোকি কাজলের সাজে, অষ্টমীর সাজে সায়ন্তনী অন্য রকম মোহময়ী যেন। তিনিই সব আসরের মধ্যমণি, তিনি নিজেও কি তা টের পাননি।
দু’জন নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেণ অষ্টমীর সকালে। শন পরেছেন টকটকে লাল পাঞ্জাবি আর কালো কাঁথার কারুকাজ করা ধুতি। একে অপরের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ। জমে গেল অষ্টমীর সাজ।
নবমীর পছন্দ একেবারে অন্য রকম, শাড়ির সাজগোজ ছেড়ে তাঁরা আধুনিক পশ্চিমি পোশাকের দিকে ঝুঁকেছেন। দু’জনের হাসিঠাট্টার মধ্যেই চোখ এড়ালো না তাঁদের পছন্দের মিল। নীল রং বেছে নিলেন দু’জনেই এক কথায়।
সায়ন্তনীর পছন্দ ফুরফুরে উজ্জ্বল নীল রঙের জাম্পস্যূট। সাহসী কাট ও ধাঁচের এই পোশাক পরেই অভিনেত্রীর যেন অন্য রূপ ধরা দিল ক্যামেরায়।
একটু পুরনো ধাঁচে চুল পাফ করে বা ফুলিয়ে সামনের দিকে বেঁধে, বাকি অংশটা খুলে রেখেছেন তিনি। কানে হালকা লম্বা দুল, আর মুখে উজ্জ্বল মিনিমালিস্টিক বাঁ ছিমছাম মেকআপ। তাতেই নবমীর দিনের সাজ একেবারে নজর কাড়া।
উলটো দিকে শন পরেছেন হাফ হাতা সুতির শার্ট। সাদার উপর নীলের স্ট্রাইপ, তাতেই তাঁর নবমীর সাজ দেখে মন উচাটন আঠেরো থেকে আটচল্লিশ সকল বয়সের মহিলাদের।
সঙ্গে কালো জিন্স আর পায়ে স্নিকার্স। শনের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে এক অন্য আবেদন। বুক অবধি খোলা টিশার্টের সঙ্গে পরেছেন গলায় বড় একটা পেন্ডেন্ট।
আবার নবমীর রাতের জন্য শন পরেছেন অন্য আরেক ধরনের হাফ শার্ট। স্যাটিন কাপড়ের উজ্জ্বল সবুজ আঁকিবুঁকি প্রিন্টের এই শার্ট পরেই নবমীর রাত মাতিয়ে দেবেন ভেবেছেন তিনি।
ছোট থেকে হস্টেলে থেকে পড়াশুনা করা ও বড় হওয়া, তাই কলকাতার পুজো নিয়ে সেই ভাবে টান গড়ে ওঠার সময় পায়নি তাঁর জীবনে। তবে নিজে মুখে স্বীকার করলেন যে, প্রথম যখন কলকাতার পুজো দেখলেন তা দেখে তাক লেগে গিয়েছিল তাঁর।
তিনি তরুণীদের বুকে ঝড় তোলা অভিনেতা। সমাজ মাধ্যমে তাঁর অনুগামীদের সংখ্যা ঈর্ষা জাগাতে পারে তাবড় তারকাদেরও। তবু তিনি বেপরোয়া, কেতাদুরস্ত।