লেয়ার কাট: লেয়ার কাটের ধরনটা হল, মাথার পিছনের দিকে একটু ছোট এবং কানের দুই পাশে একটু ঢেকে ছোট করে কাটা। আর সামনের চুল খুব ছোটও থাকবে না, আবার খুব বড়ও থাকবে না। মোটামুটি সব বয়সের ছেলেদেরই এ ধরনের চুলের কাট বেশ মানাবে।
স্পাইক কাট: স্পাইক কাট এখন তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয়। অনেকে শুধু মাথার সামনের অংশ স্পাইক করছেন। যাদের মুখ কিছুটা গোল, তারা কানের দুই পাশে চুল একটু ছোট রাখতে পারেন। এতে মুখটা ভালমতো ফুটে উঠবে। যাদের মুখ কিছুটা লম্বাটে ধরনের, তারা কানের দুই পাশে কিছুটা চুল রেখে দিলে ভাল মানাবে।
ক্ল্যাসিক ট্যাপার: ক্ল্যাসিক ট্যাপার হেয়ার কাট নিতে হলে থাকতে হবে মাঝারি লম্বা চুল। এই স্টাইল করতে মাথার পিছনে ও কানের উপরের চুল খাটো করে কাটা হয়। কিন্তু কপালের চুল রাখা হয় লম্বা, যাতে চুলগুলো কপালের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায় বা ব্যাক ব্রাশ করা যায়।
ইমো কাট: ইমো স্টাইলের জন্যও মাঝারি লম্বা চুল থাকা প্রয়োজন। ইমো স্টাইল করতে অনেকটা এলোমেলোভাবে চুল কাটা হয়। কিন্তু সামনের চুল বড় রাখা হয়। আর মাথার পিছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট রাখা হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলি মুখমন্ডলের ওপর প্রায় ছেয়ে থাকে। এটিকে ‘ইমো সুইপ’ বলে।
ক্রু কাট: ক্রু কাটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মাথার পেছনের ও পাশের চুল খুব ছোট করে কাটা হয়, কিন্তু ওপরের চুলগুলি ক্রমান্বয়ে কিছুটা বড় ও খাড়া করে রাখা হয়। ক্রু কাট পরিচর্যা করা খুব সহজ।
ফ্রন্ট ব্যাংস: এটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় হেয়ার স্টাইল। বেশিরভাগ পুরুষকেই এখন এই হেয়ার স্টাইলে দেখা যাচ্ছে। যদি কেউ এখনও দ্বিধায় ভোগেন যে, ফ্রিঞ্জ ব্যাংস হেয়ার স্টাইল তাঁদের চেহারার সঙ্গে যাচ্ছে কি না, তাঁদের জন্য ফ্রন্ট ব্যাংস উপযুক্ত।
মুলেট: এই ধরনের কাটিং-এ চুল সামনের দিকে, উপরের দিকে এবং পাশে ছোট করে কাটা হয়, কিন্তু পিছনে লম্বা হয়।
বাজ কাটিং: যারা খুব বেশি খেলা পছন্দ করেন অথবা যারা খেলোয়াড় তাদেরকে অনেক ধরনের কাটিং করতে দেখা যায়। তার মধ্যে বেশিরভাগ হল বাজ কাটিং।
ক্লাসিক কাটিং: ক্লাসিক কাটে সাধারণত মুখের গড়ন আর মাথার আকৃতি বুঝে নেওয়া হয়। এই স্টাইল এর বিশেষত্ব হল মাথার একপাশে সিথি করে চুল আচরানো থাকে।
সামার কাট: সামার কাট হল পিছনের দিক ছোট করে সামনের দিক একটু লম্বা বা বড় রাখার স্টাইল। গোলাকার চেহারার শিশুদেরও এই কাটটা বেশ ভাল মানাবে।
ব্ল্যাংক কাট: সোজা বা ঢেউ খেলানো চুলের জন্য এই কাটটি খুব সুন্দর মানায়। বলে রাখা দরকার, এই কাটে শুধু ছেলেদেরকেই নয়, মেয়েদেরকেও বেশ ভাল দেখায়।
শর্ট কাট: এই স্টাইল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তরুণদের কাছে। সব দিকের চুলই ছোট করে কেটে হেয়ার জেল দিয়ে স্টাইল করা যায়। একে অনেকে কক কাট বলে। দেশের বাইরে এটা আন্ডার কাট নামে পরিচিত।
ফেড কাট: এই স্টাইলে পিছনে ও কানের ওপরে চুল একদম থাকেই না বলা চলে। কানের কমপক্ষে এক ইঞ্চি ওপর থেকে আর পিছনে মাথার অর্ধেক ওপর থেকে কাটা শুরু হয়।
মডার্ণ পম্পাডর হেয়ার কাট: মডার্ণ পম্পাডর হেয়ার স্টাইলের ক্ষেত্রে মাথার মাঝখানের চুলগুলো লম্বা হবে। সঙ্গে সঙ্গে পাশের চুলগুলোর ১-৩ মি.লি লম্বা হবে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি একবার চুল কেটে আসলে ১-২ মাস আর সেলুনে যেতে হবে না।
ক্লাসিক কোউফ হেয়ার কাট: ক্লাসিক কোউফ খুবই খুবই জনপ্রিয় ও ট্রেন্ডি একটি চুলের কাট। এ ক্ষেত্রে যাঁরা চুল একটু বড় রাখেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের কাট বেশ ভাল। সামনের চুলগুলোর লম্বা রাখতে হবে ৭ ইঞ্চির মতো। আর পাশের চুলগুলো লম্বা হবে ২ ইঞ্চির মতো। কলেজ পড়ুয়াদের জন্য ক্লাসিক কোউফ সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি হেয়ার স্টাইল।