কপালে ঢেউ খেলানো কেশবিন্যাস। মাথার মুকুটে, গলার হারে প্রস্ফুটিত পদ্ম। চোখে মা লক্ষ্মীর শান্ত, কোমল ভাব। মুখে স্মিত হাসি। কোজাগরীর সকালে এ ভাবেই উদ্ভাসিত হলেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি একজন সফল মা'ও। নিজের কন্যা ও সারমেয়দের নিয়ে বড় আড়ম্বরে মোড়া তাঁর মাতৃত্ব।
তিনি চঞ্চল, সোজা সাপটা ও আত্মবিশ্বাসী। তাঁর কাছের মানুষরা জানেন, অভিনেত্রী অন্তরে ও বাহিরে আলাদা নন এতটুকুও।
শুধুই সমালোচনা! সে নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই কোনও তাঁর। একটা খোলা আকাশের মত মন না হলে তাঁকে চেনা বা বোঝা মুশকিল। তেমন মনের মানুষ কোথায়!
অভিনেত্রী আড়ম্বরহীন লক্ষ্মী বন্দনা করবেন আজ নিজের বাড়িতেই। নিজে হাতে পরমান্ন তৈরি করে নিবেদন করবেন মা লক্ষ্মী'কে।
তিনি নারীবাদী। ছোটবেলাতেও লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়তেন অপছন্দের পংক্তিগুলি বাদ দিয়েই। পর পুরুষের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলা, স্বামীর ভোজন হলে তবেই অন্ন গ্রহণ করা — লক্ষ্মীর পাঁচালিতে উল্লেখিত এই সব লাইনগুলি নিতান্তই অর্থহীন তাঁর কাছে। জানালেন অভিনেত্রী নিজেই।
মিথ্যাচার, দ্বিচারিতা পছন্দ করেন না অভিনেত্রী। তাই মঞ্চে উঠে তাক–দুমা–দুম করতে ভালবাসেন না একেবারেই!
মা লক্ষ্মী যেন তাঁকে মাথা উঁচু করে জীবনে এগিয়ে চলার স্বচ্ছলতায় রাখেন, এটুকুই প্রার্থনা শ্রীলেখা'র।