শিশিরভেজা সকাল। হালকা পাখা চালিয়ে, গায়ে চাদর টেনে ঘুমটা সবে গভীর হচ্ছে। ঠিক তখনই রেডিয়ো থেকে ভেসে ওঠে, ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে…’।বাঙালির মহালয়ার সকাল শুরু হয় এ ভাবেই।মহালয়া শোনার পরেই দেখার পালা। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনীর পর সেই কাকভোরেই ছোটপর্দায় দেবী এলেন।
এ বার মহালয়ার সকালে জি বাংলায় দেখা যাবে ‘নানা রূপে মহামায়া’। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌমিতৃষা কুন্ডু, মহালয়ায় সেজে উঠলেন ভিন্ন ভিন্ন দেবী রূপে।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়: লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে আদ্যা শক্তি রূপে দেখা দেবেন রাজ-পত্নী। ইতিমধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলেছেন তিনি। তার কিছু ঝলক পাওয়া গিয়েছে অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে আবার মহিষাসুরমর্দিনী রূপে আবির্ভাব হবে তাঁর।
শ্রীপর্ণা রায়: ‘কড়িখেলা’ ধারাবাহিকের পারমিতাকে দেখা যাবে দেবী অন্নপূর্ণা রূপে। এখানে দেবী অন্নদাত্রী।
শ্বেতা ভট্টাচার্য: ‘যমুনা ঢাকি’-র শ্বেতা ভট্টাচার্যকে দেখা যাবে দেবী ছিন্নমস্তা রূপে। রক্তবর্ণা, মুক্তকেশী হয়ে পাপ স্খলন করতে তাঁর আবির্ভাব।
সুস্মিতা দে: শ্যামবর্ণা, মুক্তকেশী, মুণ্ডমালা পরে কালী সেজে উঠবেন ‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিকের সুস্মিতা।
শ্রাবণী ভুঁইয়া: ঝিলম অর্থাৎ শ্রাবণী ভুঁইয়াকে দেখা যাবে দেবী ললিতা ত্রিপুরাসুন্দরী রূপে। ভন্ডাসুর এবং তাঁর ছেলেদের বধ করতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এই দেবী।
সৌমিতৃষা কুন্ডু: চণ্ডী মঙ্গলে দেবী কমলে কামিনীর গল্প বর্ণিত আছে। এই দেবী চতুর্ভুজা। কমলের উপর অধিষ্ঠিত থাকেন তিনি।সেই তিনিই ‘মিঠাই’ অর্থাৎ সৌমিতৃষা কুন্ডু।
তিয়াসা সাহা: শুম্ভ-নিশুম্ভ এবং রক্তবীজের মতো অসুরকে বধ করতে আবির্ভাব হয়েছিল দেবী কৌশিকীর। মহালয়ার সকালে ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের শ্যামা অর্থাৎ তিয়াসাকে দেখা যাবে এই রূপে।