তিনি এমন একজন বাঙালির সঙ্গে নাম ভাগ করেন, যিনি বিশ্ব-সুন্দরী (‘মিস ইউনিভার্স’) হয়েছিলেন। তবে ইনিও রূপে কম যান না। সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। এই বছরই ‘প্রেম টেম’ ছবির হাত ধরে টলিউডে অভিষেক হয়ে গিয়েছে তাঁর। পুজোর মরসুমে কেমন সেজে উঠলেন অভিনেত্রী?
বঙ্গ নারী, অঙ্গে শাড়ি। আর পুজো এলে বাঙালি কন্যের গায়ে শাড়ি উঠবে না তাও কি হয়? সুস্মিতাও সেজে উঠলেন রকমারি শাড়িতে।
টানা টানা করে আঁকা দুই চোখ, মাথার পিছনে খোঁপায় শোভা পাচ্ছে সুগন্ধী জুঁইফুলের মালা, আর গলা জুড়ে ভারী সোনার গয়না। ভ্রূ-যুগলের মাঝখানে ছোট্ট টিপ। একবিংশ শতক নয়, সুস্মিতা যেন সেই ’৬০ কিংবা ’৭০-এর বাংলা ছায়াছবির নায়িকা।
গয়নার মতো পরনের শাড়িটিও বেশ ভারী কাজের। একরঙা নীল শাড়িতেও নায়িকা যেমন সুমিষ্ট, তেমনই মোহময়ী।
প্রতি পুজোতেই নিজের বাড়ি কুলটিতে ফেরেন কন্যে, সময় কাটান পরিবারের সঙ্গে। তবে টলিউডের নায়িকা হওয়ার পরে এই প্রথম বাড়ি ফেরা, তাই এই বারের প্রত্যাবর্তন কিছুটা হলেও আলাদা। এই বার শুধু মা বাবা নন, গোটা কুলটি অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। উত্তেজনা অনেকটাই বেশি। মুখের হাসিতেও যেন তারই ছাপ।
শাড়ি-খোঁপা-টিপের সনাতনী সাজে বিশ্বাসই করা মুশকিল যে, পাশের ছবির এই নারীই আসলে ‘প্রেম টেম’ ছবির ঝাঁকড়া চুলের ডাকসাইটে 'রাজি'। নায়িকা নিজেও কি বিশ্বাস করতে পারছেন না? আয়নায় পরখ করে নিচ্ছেন নিজেকেই?
একরঙা শাড়ি ছেড়ে এ বার বর্ণিল-বাহারি শাড়িতে সেজে উঠলেন কন্যা। কালো, গোলাপি, সোনালি রঙের সমাবেশে, উৎসবের সাজে ঝলমলে অভিনেত্রী।
এলো চুল, ঝোলা হার, আর টিপ— এতেই মাতিয়ে দিলেন সুস্মিতা। আর কাজলকালো চোখের চাহনি বুঝিয়ে দিল, তা সহজেই কাবু করতে পারে অনেককে।
পদ্ম হাতে যখন মৃদু হাস্যে দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে তখন তিনি সত্যিই ‘সু-স্মিতা'। আর দূরের নায়িকা নন, যেন পাশের বাড়ির আদরের মেয়ে।
সব শেষে সেজে উঠলেন বিজয়ার সাজে। লাল পাড়, ঘিয়ে রঙের শাড়িতে স্মিত হাসিতে সুস্মিতা বঙ্গ-তনয়ার চিরন্তনী সাজেই হয়ে উঠলেন অনন্যা। ছবি: শিলাদিত্য দত্ত, বিপ্রদীপ চক্রবর্তী। রূপটান: অভিজিৎ পাল, সানন্দা লাহা (সহকারী)। পোশাক শিল্পী: রাজ বন্দ্যোপাধ্যায়।