শারদোৎসব শাড়ি ছাড়া বেমানান। অথচ ভিড়ের মধ্যে হাঁপ ধরে যাবে এমন সাজও চলবে না। পুজোর প্যান্ডেলে ঘুরতে ঘুরতে প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়াও প্রয়োজন। তা হলে কী ভাবে সাজা যায়? রইল কিছু পরামর্শ।
অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ গত বছর পুজোয় তেমন সাজতে পারেননি। কোথাও বেরোতেই পারেননি সে ভাবে। কোভিড এখনও যায়নি। তাই কোভিডবিধি মেনেই চলতে হবে পুজোয়। মাস্ক-স্যানিটাইজার নিয়ে একটু হাঁপিয়েই যায় মানুষ। তাই সাজ আরামদায়ক হওয়া খুব জরুরি। কৃত্রিম কাপড় শাড়ি পছন্দ নয় অপরাজিতার। তাই এমন শাড়ি বেছে নিয়েছেন এ বারের পুজোর জন্য যা পরে গরমে কষ্ট না হয়।
সবুজ শাড়ির সঙ্গে বক্সি কাটের ক্রপ টপকে ব্লাউজের মতো ব্যবহার করেছেন অপরাজিতা। সপ্তমীর আড্ডার জন্য তাঁর সাজ তৈরি।
অষ্টমীতে ব্যস্ততার অন্ত থাকে না অভিনেত্রীদের। আবার এই দিনের সাজে একটু জাঁকজমক না থাকলেও চলে না। তাই সনাতনী কালো শাড়ি তিনি পরেছেন অন্য কায়দায়। সঙ্গে রাফল্ড স্লিভ জ্যাকেট হয়েছে ব্লাউজ। পাড়ের সোনালি কারুকাজের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে ফুশিয়া রং। তাই অষ্টমীর সাজের জাঁকজমকে ফাঁকি পড়েনি।
খুব ভারী গয়নাও এক্কেবারে অপছন্দ অপরাজিতার। একদম হালকা ছিমছাম গয়না বেছে নিয়েছেন প্রত্যেক সাজের সঙ্গে। কারণ গরমে শাড়ির সঙ্গে ভারী গয়না পরলে বেশি ক্ষণ সামলানো যায় না— এমনই মত অপরাজিতার।
নবমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা। তাই আরও আরামদায়ক সাজ চাই। অথচ পুজোয় একটু অন্য রকম সাজতেও হবে। তাই অপরাজিতা ঠিক করেছেন প্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। নানা রকম প্রিন্টের মিশেল তাঁর নবমীর শাড়ি। ব্লাউজেও দেখা যাচ্ছে কনট্রাস্ট রঙের আজরখ প্রিন্ট। ব্লাউজের স্লিভে নেটের ব্যবহার সাজে অন্য মাত্রা যোগ করেছে।
গয়না অপছন্দ হলেও ছিমছাম সাজেও নজর কাড়তে হয়, তা ভালই জানেন অভিনেত্রী। তাই কুরুশের কাজের একটি কাপড় হেড গিয়ারের মতো ব্যবহার করেছেন তিনি। তাতেই পুরো সাজে তিরিশের দশকের পশ্চিমী ফ্যাশনের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে নিমেষে। চোখের কাজল-আইলাইনারের টানেও রয়েছে সেই ছোঁয়াই।
দশমীতে লাল-পাড়া সাদা শাড়িতেই সাজে বেশির ভাগ বাঙালি মেয়ে। কিন্তু এখানেও একটু অন্য রকম সাজ বেছে নিয়েছেন অপরাজিতা। লাল শাড়ি আর হাল্কা গোলাপি স্ট্র্যাপি টপ বেছে নিয়েছেন তিনি। সনাতনী গয়নার বদলে কাপড়ের তৈরি নেকপিস এবং একই কাপড়ের হেড গিয়ার পরেছেন অনেকটা মাথায় ফুল লাগানোর ভঙ্গিতে। সঙ্গে মানানসই মেকআপ সাজে আরও নাটুকে ছোঁয়া যোগ করেছে।
ছবি: আসিফ ইকবাল, পোশাক: জন সেনগুপ্ত